মো. ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় আজিজ নগর পূর্ব চাম্বি ও সরই ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অভিযানে জব্দ করে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন। বুধবার ৭ মে দুপুরে জব্দকৃত বালি প্রকাশ্যে নিলামে ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম শেষ করেন। নিলামে মোট ৬টি পয়েন্টের জব্দকৃত বালি বিক্রি হয়। পূর্ব চাম্বি মুসলিম পাড়া (০৯ নং ওয়ার্ড, আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদ) নিলামগ্রহীতা নুরুল আলম ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বালি ক্রয় করেন। সরই ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান পাড়া হরিখাল সংলগ্ন ৩টি ০৭ নং ওয়ার্ডের জার্মানীয়া পাড়া ব্রিজের পার্শ্বে ৩টি এবং সালাম মেম্বার পাড়ার ১টি জুবায়ের আলম মোট ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে এ বালি ক্রয় করেন। ধুইল্যা পাড়া (হারেছ চৌধুরীর প্রজেক্ট সংলগ্ন ২টি স্তূপ) নওশেদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। সরই ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের কেয়াবন্যা পাড়া সংলগ্ন ১টি সেলিম ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে বালি ক্রয় করে। স্থানীয় বাসিন্দা লামা উপজেলা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগতম জানিয়ে প্রতিবেদক’কে জানান, অবৈধ বালি উত্তোলনের কারণে নদীর ভাঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়ায়। নিলামের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে। নদীভাঙন ও মাটি ক্ষয়ের মতো সমস্যা রোধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও জনসচেতনতা তৈরির তাগিদ দেন। এই নিলাম পরিবেশ সংরক্ষণে প্রশাসনের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন বলে মন্তব্য করছেন অনেক স্থানীয়রা। ইউএনও মো. মঈন উদ্দিন প্রতিবেদক’কে জানান, পরিবেশ ও নদী সংরক্ষণ আইন ভঙ্গ করে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগে গত কয়েক মাসে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অভিযান চালায়। জব্দকৃত বালি আইনানুগভাবে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। অবৈধ বালি উত্তোলন রোধে এ’অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply