তপু রায়হান রাব্বি ময়মনসিংহপ্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ফুলপুরে মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের দেওলা গ্রামের মৃত সৈয়দ আব্দুল হকের ছেলে ভুক্তভোগী সাবেক মেম্বার সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম @সফরের স্ত্রী সহ তার পরিবারের লোক জন ৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘাস ফড়িং রেস্টুরেন্টে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর স্ত্রী শেফালি আক্তার বলেন, তার পাঁচ ভাই এর সাথে শেরপুর রোড মোড়ে সৈয়দ মার্কেট এর মালিকানা নিয়ে পারিবারিকভাবে তার ভাই সৈয়দ কামরুজ্জামান এর সাথে ঝগড়া চলছে। সৈয়দ কামরুজ্জামান বিগত সময় আওয়ামীলীগ থানা কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুলিশের সহায়তায় বার বার থানা থেকে পুলিশ এনে ভয় ভীতি দেখিয়ে তার দেওয়া শর্তগুলো মানিয়া নিতে চাপ প্রয়োগ করে। এছাড়া পুলিশি সহায়তায় বিভিন্ন প্রকার হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা রজু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ৩০শে এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম @ সফর ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর সুবিচার পাওয়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। হঠাৎ করে গত ২২ এপ্রিল ফুলপুর থানার এস.আই সানাউল হক আনুমানিক রাত ২টায় আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে আমি নিজে থানায় গিয়ে ওসি সাহেবের সাথে দেখা করার চেষ্ঠা করি। কিন্তু সারারাত এবং পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত বসে থাকা সত্ত্বেও তিনি দেখা দেন নাই। অবশেষে আমি বাধ্য হয়ে জেলা বি.এন.পির যুগ্ম আহব্বায়ক জনাব, মোতাহার হোসেন তালুকদার এর নিকট ফোন করে জানতে চাই আমার স্বামী যেহেতু আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত না কেন তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। সে আমাকে কিছুক্ষন পর জেনে বিষয়টি জানানোর কথা বলে। কিছুক্ষন পর ফোন দিয়ে আমাকে জানায় আপনাদের নিজের লোকই ধরিয়ে দিয়েছে এবং এটা কোন দলীয় বিষয় না। পরবর্তিতে জানতে পরি সৈয়দ কামরুজ্জামান ফুলপুর থানার ওসিকে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২০শে জুলাই ২০২৪ ইং তারিখের ঘটনায় ফুলপুর থানায় দায়েরকৃত মামলা নং-১৬ তারিখ ২৩শে ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক নাশকতা মামলায় ফাসিয়ে দিয়েছে। আমার স্বামী কোন আওয়ামীলীগ এর রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলার বাদি একই ইউনিয়নের দেওখালী গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ মমিনুল হক এর সাথে দেখা করি। প্রথমে সে আমাকে নিশ্চিত করে এই মামলার ব্যাপারে কিছুই জানে না। পরবর্তিতে তাহার নিকট লোক পাঠালে সে বলে কোর্টে গিয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সফর এর পক্ষে স্বাক্ষী দিবে যে, সে কোন আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত না এবং তার দায়েরকৃত মামলার আসামীও না। এজন্য সে আদালতে মামলার তারিখের আগের দিন ফোন করে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সে মামলার তারিখের দিন স্বাক্ষী দিতে যায় নাই। তাই বাধ্য হয়ে আমি আপনাদের শরনাপন্ন হয়ে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের অনুরোধ জানাচ্ছি। সেই সাথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে দেওয়া এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রুত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া বিগত সময়ে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতা সৈয়দ কামরুলকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। এ সময় সাথে ছিলেন ভুক্তভোগীর ছেলে সৈয়দ রিফাত মিয়া, বড় ভাই সৈয়দ আতাউর রহমান, আমিনুল হক, ভাতিজা সৈয়দ রাকিব মিয়া, চাচা মনি মেম্বার, চাচা শশুর দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ। সংবাদ সম্মেলনে শেফালী আক্তার কি ওসিকে সরাসরি টাকা নিয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন না ? তবে কার মাধ্যমে টাকা চেয়েছেন এ বিষয়ে উত্তর চাইলে তিনি সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। তবে মমিনুল হক সরাসরি টাকা চেয়েছে এ বিষয়ে তিনি সহ তার পরিবার সরাসরি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। উক্ত টাকার বিষয়ে ফুলপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল হাদিকে মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার উপর আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণই মিথ্যা এবং সাজানো নাটক। থানায় যে কেউ কোন অভিযোগ দিলে আমরা তা তদন্ত করে তারপর মামলা এফআইআর করে থাকি গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি। গ্রেফতারি পরোয়ান ও এফআইআরকৃত মামলার আসামি গ্রেফতারের পর ছাড়ার মত কোন সুযোগ নেই।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সদস্য সচিব পরিচয় দেওয়া মোঃ মমিনুল হকের সাথে যোগাযোগের জন্য বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। তাই কোন বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
Leave a Reply