মো. ইসমাইলুল করিম বান্দরবান প্রতিনিধি : পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় উপজেলার আলোচিত আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিসের লুট হওয়া ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকা ডাকাতির ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযানে লামা ও পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতদের দেয়া তথ্য মতে পৃথক দুইটি অভিযানে ৩ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, পাশ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার পূর্ব ভেউলা ইউনিয়নের পদ্মাছড়া এলাকার মারুফুল ওরফে আরিফ (৩৩), একই উপজেলার লক্ষ্যাচর ইউনিয়নের নাঈমুল ইসলাম ওরফে সাগর (৩১), লামা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম (৩৬), একই এলাকার আব্দুল ওহাব এর ছেলে মো. সুজন (২৫) এবং সাবেক বিলছড়ি সিলেটি পাড়ার ওয়াসের আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪৫)।পুলিশের সূত্রে জানায়, এই মামলার আই, ওসি তদন্ত এনামুল হক এর নেতৃত্বে সাব ইন্সপেক্টর আলমগীর, সাব ইন্সপেক্টর নুরুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করি। টাকার নোট ভর্তি বাজারের ব্যাগ মাটির নিচ থেকে তোলার সময় গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ : গত ০৯ মে ভোর রাতে লামা লাইনঝিরিস্থ আবুল টোব্যাকোর অফিস ডাকাতি হয়। ডাকাত দল ১ কোটি ৭২ লাখ ৬ শত টাকা নিয়ে যায়। এই ব্যাপারে ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দেন। লামা থানা পুলিশ টিম অভিযান করে চকরিয়া ও লামা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে চারজনকে আটক করছেন। লামা থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার এক অভিযানে লামা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম (৩৬) এর কাছ থেকে ৫০ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে শুক্রবার রাত ৭টায় লামা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড (সাবেক বিলছড়ি সিলেটি পাড়ার ওয়াসির আলীর পাহাড়) হতে মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ওয়াসের আলীর ছেলে মো. করিম দক্ষিণ চট্টগ্রামের আন্তঃজেলা ডাকার দলের অন্যতম সদস্য। তাকে এই ডাকাতির ঘটনা ও টাকা লুটের প্রধান মাস্টারমাইন্ড বলে ধারণা করা হয়।
Leave a Reply