নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৬ মে শুক্রবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১নং হলরুম যেন একখণ্ড প্রাণের আবাসভূমিতে রূপ নেয়। ঈদ-পরবর্তী এবং আগাম ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা, মতবিনিময়, স্মৃতিচারণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রাঙ্গণজুড়ে বইছিল আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের এক অবিরাম ধারা। সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সিদ্দিক আজাদের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় এবং সভাপতি হিসেবে ডক্টর এ্যাডভোকেট শিব্বির আহমদের পাণ্ডিত্যপূর্ণ উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে এক স্মরণীয় মুহূর্তের ভান্ডার। আলোচনায় অংশ নেন ১৪ জন অভিজ্ঞ আইনজীবী, যাঁরা তাঁদের মূল্যবান অভিমত ও অতীতের মধুর স্মৃতি ভাগ করে নিয়ে অনুষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করেন। দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ছিল পবিত্র জুম্মার নামাজের বিরতি। নামাজ শেষে পরিবেশিত হয় স্টার কাবাবের সুস্বাদু কাচ্চি বিরিয়ানি এবং আরও নানা পদের খাবার। সকাল থেকে অনুষ্ঠানশেষ পর্যন্ত অতিথিদের জন্য চা-বিস্কুট ও হালকা নাস্তার ব্যবস্থা চলমান ছিল, যা অংশগ্রহণকারীদের প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। দুপুর ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক আয়োজন যেন এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে দিনটিকে। অংশগ্রহণকারী আইনজীবীদের মধ্যকার প্রতিভাবান শিল্পীরা আবৃত্তি, কবিতা, গান ও চুটকি পরিবেশন করে মুহূর্তগুলোকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। হাসি-আনন্দ আর করতালিতে মুখরিত হয় সভাকক্ষ। সভায় জানানো হয়, ঈদের পরপরই তিন দিনব্যাপী দেশীয় ফলের উৎসব উদযাপন করা হবে। প্রথম দিন লিচু উৎসব, দ্বিতীয় দিন কাঁঠাল ও মুড়ি দিবস এবং তৃতীয় দিন আম উৎসব – এই তিনদিন যেন সুপ্রিম কোর্টের ১নং হলরুমে বাংলার মাটির মৌসুমী মাধুর্য ছড়িয়ে দেবে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সিনিয়র আইনজীবীরা জানান, ছুটির দিনে এ ধরনের উৎসব এই প্রথম। তাঁরা এমন আয়োজন আরও বারবার দেখতে চান বলেও আয়োজকদের প্রতি আহ্বান জানান। দিনের শেষে ২০টি আকর্ষণীয় গৃহস্থালী উপহার লটারির মাধ্যমে বিতরণ করে আনন্দঘন এই অনুষ্ঠানের পর্দা নামে। একটি স্মরণীয় দিনে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে এক আত্মিক মিলনের উষ্ণ আলয়।
Leave a Reply