ওয়াহিদ মুরাদ, খুলনা ব্যুরো চীফ–খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউপি সদস্যদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ও অধীক শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে ৬ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রশিক্ষণ কোর্সে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোর্সের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ প্রশিক্ষণ কোর্স ৩টি ব্যাচে বিভক্ত হয়ে শনিবার (১৭ মে) শুরু হয়ে আগামী সোমবার (২২মে) সমাপ্ত হবে। আজ শনিবার (১৭ মে) গাজিরহাট ইউনিয়ন এবং বারাকপুর ইউনিয়নের সদস্যদের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়) ও স্থানীয় সরকার,পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় ওয়েভ ফাউন্ডেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। দিঘলিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫৪টি ওয়ার্ড থেকে ৭২ জন ইউপি সদস্য এ প্রশিক্ষণ কোর্সে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণপূর্বক দক্ষতার সাথে গ্রাম আদালত সম্পর্কে বিষদ ধারণা নিতে সক্ষম হবেন। দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ কোর্সটি সুন্দরভাবে পরিচালনার স্বার্থে গ্রাম আদালত, আইনশৃংঙ্খলা, নারী ও শিশু, যুব উন্নয়ন এবং সমাজসেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে প্রশিক্ষণের আওতায় সংযুক্ত করা হয়েছে। ৬দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রশিক্ষক হিসেবে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাংশু বিশ্বাস, দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন, সমাজসেবা অফিসার সোহাগ হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিপাশা দেবী তনু ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোনায়েম খান। এছাড়াও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও গ্রাম আদালত সংক্রান্ত ভিডিও প্রদর্শনী উপস্থাপন করেছেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপজেলা সমন্বয়কারী সাবিনা খাতুন। এ বিষয়ে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, গোটা বাংলাদেশের সব কয়টি ইউনিয়ন পরিষদ যদি এই গ্রাম আদালতের আওতায় সংযুক্ত হয়ে যায় তাহলে স্থানীয়ভাবে ছোটখাটো সমস্যাগুলি খুবই কম খরচে এবং স্বল্প সময়ে সমাধান হয়ে যাবে। তখন আর কাউকে সময় ও টাকা ব্যয় করে আদালতে যাওয়া লাগবে না। তবে, গ্রাম আদালতের বিচারককে অবশ্যই নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ থাকতে হবে। বিচারক কোনো পক্ষকে সাপোর্ট দিলে বা কোনো পক্ষ ন্যায় সমাধান না পেলে সাধারণ মানুষ তখন অবশ্যই আদালত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে। আর যেসকল অভিযোগগুলি গ্রাম আদালতের আওতায় পড়ে সেগুলোই সমাধানের আওতায় আনতে হবে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্যগণ সক্রিয় হলেই গ্রাম আদালতের সুফল বয়ে আসবে।
Leave a Reply