মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু বিশেষ প্রতিনিধিঃ (নওগাঁ): কোরবানির ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কোরবানি পশু নিয়ে নানা সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হচ্ছে।বিশেষ করে ওজন ও দামের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসছে বাহারি নামের সব গরু। এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে নওগাঁর বদলগাছীর কালামানিক নামের একটি বিশাল আকৃতির ষাঁড়। এদিকে গরুর ওজন নির্ধারণ করলেও দাম এখনো নির্ধারণ করেনি প্রান্তিক খামারি- আলোচনা সাপেক্ষ বিলাশ আকৃতির এই গরুটির দাম দর মেটাবেন এমনটাই বলছেন গরুর মালিক। দেশের উত্তরের জেলা নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের নিভৃত পল্লি আধাইপুর গ্রামের মাষ্টার পাড়ার কৃষক ইউনুস আলী সরকার নিজ বাড়িতেই বিলাশ আকৃতির একটি গরু লালনপালন করেছেন। আসন্ন পবিত্র ইদুল আজহা উপলক্ষে এই ষাঁড় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন এই গরুর মালিক। নেপালিয়ান জাতের কালচে রঙের এই দৈত্যাকার ষাঁড় গরুটির নাম রেখেছেন কালামানিক-কালামানিকের ওজন প্রায় ১২শ কেজি (৩০মণ)। এরই মধ্যে অনেকেই গরুটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করছে।গরুর মালিকের বাড়িতে দূর-দূরান্ত থেকে কালামানিক কে কিনতে আসছেন ক্রেতারা। করছেন দাম-দরও। গরুর মালিক ইউনুস আলী সরকার বলেন, প্রায় প্রতি বছরই কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বড়সড়ো আকারের একটি ষাঁড় গরু বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করি। এর ধারাবাহিকতায় এ বছর ও কোরবানির ঈদকে ঘিরে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি নেপালিয়ান জাতের একটি ষাঁড় গরু। আমার বাড়ির নেপালিয়ান জাতের গাভীর এই ষাঁড় বাছুরটি কে অতি যত্নে লালন পালন করে বড় করেছি। এই ষাঁড়টির নাম রেখেছি কালামানিক।কালামানিকের বয়স ৩বছর ৯মাস -ওজন এখন ১২শ কেজি। ঘাস লতাপাতা, চালের খুদ গুড়া ভূসি খাইয়ে প্রাকৃতিক ভাবে বড় করেছি এই ষাঁড়। আশা করছি আসন্ন কোরবানির ঈদে এই পশু বিক্রি করে মোটা অংঙ্কের টাকা পাবো। মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ প্রয়োগ না করে -কাঁচা ঘাস,চালের খুদ আর ভূসি খাইয়ে প্রাকৃতিক ভাবে বড় করেছেন এই কালা মানিক । ভালো দাম পেলে বাড়ি থেকেই এই বিশাল আকৃতির পশু কালামানিকে বিক্রি করবেন এমনটাই আশা করছেন এই গরুর মালিক। সরিজমিনে গিয়ে জানতে চাইলে স্থানীয়রা জানান, ইউনুস আলী বড় ষাঁড় গরু পালন করেন আর এই কাজে তার ছেলে আবু জাফর সহ পরিবারের সদস্যরা দেখভালে সার্বিক সহায়তা করেন এবং ঈদ বাজারে তার পালিত গরুটি মোটা অংঙ্কের টাকায় বিক্রি করে লাভবান হোন ।এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য একটা বিশাল আকৃতির ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন । গরুর নাম দিয়েছেন কালামানিক। কালামানিককে দেখতে তার বাড়িতে প্রায় ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। কেউ কেউ আবার নিজের ছবি স্বরনীয় করে রাখতে কালামানিকের সাথে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছেন। জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রিপা রানী জানান, এবার ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বদলগাছী উপজেলায় খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে ৫৪ হাজার ৪শত ৬৭টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। যা এই উপজেলার চাহিদা- মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা যাবে ।
Leave a Reply