1. admin@pressbd.online : admin :
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বন্দরের তিনগাঁও এলাকার যৌতুক লোভী সোহাগ পুলিশের হাতে গ্রেফতার  মধ্যনগরে জোরপূর্বক দখলকৃত জমি ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন ঝালকাঠিতে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান কর্তৃক সহযোগী সংগঠন পরিদর্শন  বাগেরহাটে ভূমি অফিসে দুদকের অভিযান: সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জব্দ  সেনবাগ থানার এজাহারভুক্ত আসামি এখন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি, যোগদান করেই ছুটিতে  মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত উপজেলা গড়তে চান ওসি মোঃ মতলুবর রহমান লামায় দুর্যোগ প্রস্তুতি মোকাবেলায় সহায়ক সরঞ্জাম বিতরণ করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ বান্দরবানে গোপন সংবাদে ৮ রোহিঙ্গা আটক মাগুরার শ্রীপুরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার  রূপগঞ্জে ভাতিজার ইটের আঘাতে চাচার মৃত্যু

সেনবাগ থানার এজাহারভুক্ত আসামি এখন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি, যোগদান করেই ছুটিতে 

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২১ মে, ২০২৫
  • ৫ বার শেয়ার হয়েছে

তপু রায়হান রাব্বি ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন মিজানুর রহমান। তবে তার এই পদায়ন ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক। কারণ, তিনি ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার একটি মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি। ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানা গেছে, গত ১৯ মে সোমবার তিনি কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পর দিন ২০শে মে মঙ্গলবার ওসি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে তিনি সাতদিনের ছুটিতে চলে যান। এর আগে তিনি ভালুকা মডেল থানায় পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় বিএনপি নেতা নুরনবী বাচ্চুর দায়ের করা এক মামলায় মিজানুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলাটি দায়ের হয় ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং কথিত ‘ক্রসফায়ার’-এর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়। মামলাটি দণ্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৮, ৩২৩, ৩৪২, ৩৬৫, ৩৮৬, ৩৮০, ১৭০, ৪২৭, ৫০৬ ও ১১৫ ধারায় রুজু হয়। যার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন সেনবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রউফ। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, “মিজানুর রহমান স্যার মামলার প্রধান আসামি এবং এখনো জামিন নেননি।” সেনবাগ থানার বর্তমান ওসি মো. নাজিম উদ্দিনও মামলার অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছেন।একজন এজাহারভুক্ত আসামিকে থানার সর্বোচ্চ দায়িত্বে বসানো প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তুলেছে। তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, “স্যার যোগদান করেই ছুটিতে গেছেন।”দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ময়মনসিংহের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট এম এ হান্নান খান বলেন, বিভাগীয় শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ থানায় মামলার আসামিকে ওসি হিসেবে পদায়ন করা কোন ভাবেই ঠিক হয়নি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুলিশের এমন ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। দায় এড়িয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে সেটি আমার জানা ছিল না। তা জানাজানি হলে বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই বাস্তবায়ন করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আইনের দৃষ্টিতে একজন এজাহারভুক্ত আসামি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর একজন প্রতিনিধি বলেন এ ধরনের পদায়ন জনসচেতনতা ও প্রশাসনিক নিরপেক্ষতার প্রতি জনআস্থা হ্রাস করে।” মিজানুর রহমানের পদায়ন যদি প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে, তবে এটি পুনর্বিবেচনা করা ন্যায্য হবে, বিশেষ করে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়। বিষয়টি তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়ার আলোকে স্পষ্ট করা প্রয়োজন, যাতে পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অক্ষুণ্ণ থাকে বলে জানান নাগরিক সমাজ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি