মো. ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় লেবুজাতীয় ফসল চাষাবাদ প্রযুক্তি বিষয়ক একদিনের কৃষক প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণভুক্ত কৃষকদের প্রদর্শনীর উপকরণ হিসাবে বিভিন্ন ইউনিয়নে লেবু জাতীয় ফসলের চারা বিতরণ করা হয়েছে। লামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে (শনিবার ২৪ মে) সকালবেলা উপজেলা কৃষি অফিস হল রুমে লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ শেষে প্রদর্শনীভুক্ত কৃষকদের মাঝে চারা, রাসায়নিক ও জৈব সার, বালাইনাশক এবং কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়। উক্ত বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার আশরাফুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাকিলা আক্তার, সহকারী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অভিজিৎ বড়ুয়াসহ অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী’সহ প্রমূখ। উপজেলা কৃষি অফিসার আশরাফুজ্জামান বলেন, লামা উপজেলায় লেবুজাতীয় ফসল বিশেষত লেবু, মাল্টা ও কমলা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির সুযোগ ও সম্ভাবনা অনেক। পাহাড়ের ঢালে যেসব জায়গায় এখনো অনাবাদি রয়েছে সেখানে এই ধরনের ফল গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। উচ্চ মূল্য ফসল হওয়ায় এতে কৃষকদের পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে। বাণিজ্যিক বাগান তৈরির পাশাপাশি বসতবাড়ির অনাবাদি জায়গাতেও লেবু জাতীয় ফসল চাষের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। চারা বিতরণের পূর্বে কৃষকদের সামগ্রিক উৎপাদন প্রযুক্তি বালাই ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কারিগরি তথ্য অবহিত করা হয়। ফাইতং ইউনিয়ন খেদারবান পাড়া গ্রামের কৃষক মো. ইসমাইলুল করিম বলেন, আমি মাল্টা ও লেবু, কমলা ও বাতাবিলেবু চারা পেয়েছি। চারা বিতরণের আগে কৃষি অফিস থেকে এ চারা রোপণ ও পরিচর্যা পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছে। সেভাবেই আমরা গাছের চারা রোপণ করব। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে, অন্যদিকে কৃষকরা এখান থেকে ফল খেয়ে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply