জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধিঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে সুন্দর আচরণ ও ব্যবহার দিয়ে তাদের জীবনযাত্রা উন্নত করা প্রয়োজন। ডিমেনশিয়া কোনো মানসিক রোগ নয়, এটি একটি মস্তিস্কের রোগ। ডিমেনশিয়া বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি। মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর বেইলী রোডে পার্বত্য চট্রগ্রাম কমপ্লেক্সের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত ডিমেনশিয়া রোগের প্রকোপতা এবং সতর্কতা” শীর্ষক এক সেমিনার এবং প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সকল বয়সের মানুষের মধ্যে ডিমনেশিয়া হতেপারে তবে সাধারনত বয়স্ক মানুষের মধ্যেই এ রোগ বেশী দেখাযায়। ডিমেনিশিয়া আক্রান্তদের সেবা যত্ন নেয়ার পাশাপাশি তাদের সঙ্গ দিয়ে মানসিক প্রশান্তি প্রদানের মাধ্যমে আক্রান্তদের সুস্হ রাখা সম্ভব। বক্তারা জানান, মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের ক্ষতিকর প্রক্রিয়ার ফলস্বরুপ ডিমেনশিয়া রোগের উদ্ভব, ফলে মস্তিস্কের কার্যক্রমে অবনতি ঘটে এতে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়, চিন্তা চেতনার পরিবর্তন ঘটে, কথা বলতে গেলে বিষয়বস্তু বা প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী হারিয়ে ফেলা বা খুঁজে না পাওয়া, অন্যের কথা বুঝতে বিঘ্ন ঘটা প্রভৃতি নানা উপস্বর্গ দেখা দেয়। সেমিনারে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হার মতে পৃথিবীতে বর্তমানে পাঁচ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশী মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। মানুষের গড় আয়ু বাড়ার সাথে সাথে দেশে ডিমেনশিয়া আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে যা ভবিষ্যতে নেতিবাচক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণ। বক্তারা বলেন, বর্তমান দেশে প্রায় এগার লক্ষ ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে, ডিমেনশিয়ার তেমন সুচিকিৎসা এখনও আবিস্কার হয়নি। তাই ডিমেনশিয়া আক্রান্তদের সেবা যত্ন ও প্রতিরোধে গুরুত্ব দেয়া এবং এ বিষয়ে গণসচেতনতা ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান তারা। আলঝেইমার সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি আজিজুল হক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রাশিদা ফেরদৌস এনডিসি, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান খান, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র সহযোগী হালিদা হানুম আকতার অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply