নিজস্ব প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার হওয়ায় এখন অপরাধ জগৎ কাঁপছে। বিশেষ করে দায়িত্বরত সেনাবাহিনী মব ভায়োলেন্স এবং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ায় চিহ্নিত অপরাধীরা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। ফলে জেলার সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছেন।কুড়িগ্রামের সেনাক্যাম্প সূত্র জানিয়েছে- আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সেনাবাহিনী সর্বদাই প্রস্তুত রয়েছে। কুরবানির পশুর হাটগুলোকে শতভাগ নিরাপদ রাখার জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো যাতে এতটুকু ভোগান্তির শিকার না হয় সেদিকেও বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। সূত্র আরো জানায়- চোরাচালান, অবৈধ মাদক পাচার, পেশি শক্তির ভয় দেখিয়ে অবৈধ দখল দারিত্ব ও টেন্ডারবাজি সহ স্পর্শকাতর সকল ধরনের অপরাধ দমনের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে কুড়িগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী। অধিকতর তৎপরতা সম্পর্কে কুড়িগ্রাম জেলা সম্মিলিত শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্যজোটের আহ্বায়ক মো: আয়নাল হক সন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন- আমাদের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে সাধারণ শ্রমিকরা সুখে- শান্তিতে কাজ করতে পারবে। সেনাবাহিনীর মহতী উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। একই প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অনিরুদ্ধ রেজা জানিয়েছেন- সেনাবাহিনী অপরাধীদের বিরুদ্ধে শক্তপোক্ত অবস্থান নেয়ায় একদিকে যেমন অপরাধের মাত্রা কমিয়ে এসেছে, অন্যদিকে আমরা সাংবাদিকগণ নির্বিঘ্নে এবং নির্ভয়ে সব ধরনের সংবাদ পরিবেশন করতে পারবো। কুড়িগ্রাম সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার-এর মুখোমুখি হলে তিনি কুড়িগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের জানান- অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে অথেনটিক ইনফরমেশন পেলে আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমাদের প্রধানতম দায়িত্ব হচ্ছে কুড়িগ্রামকে অপরাধমুক্ত করে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।
Leave a Reply