তপু রায়হান রাব্বি ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ সারাদেশের ন্যায় ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি’র কার্যালয়, ময়মনসিংহের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়াম, ময়মনসিংহে ২৯শে মে বৃহঃস্পতিবার আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২৫ এর আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। এবছর এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “The Future of Peacekeeping.”অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন হায়দার, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, কমান্ডার এডব্লিউজিসি, সদরদপ্তর ৭৭ পদাতিক ব্রিগেড, মোমেনশাহী সেনানিবাস। এছাড়াও এতে, ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ছাড়াও সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, র্যাব, এনএসআই, ডিজিএফআই, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসন মুফিদুল আলক, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ময়মনসিংহের শিক্ষক- শিক্ষার্থীবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ-সহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া, ডিআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ, ময়মনসিংহ রেঞ্জ, ময়মনসিংহ মহোদয়। তিনি উপস্থিত সকলকে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন ১৯৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের এবং জুলাই ২৪ বিপ্লবের শহীদ এবং সাহসী বিপ্লবীদের মহান আত্মত্যাগ। তিনি বলেন ১৯৮৮ সাল থেকে অদ্যাবধি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে দায়িত্ব পালনকালে আত্মাহুতি প্রদানকারী সকল বাংলাদেশী সেনা ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ এবং তাদের পরিবারবর্গকে যাদের বীরত্বের প্রতিবিম্ব আজও বিশ্বশান্তির ধারক ও বাহক হয়ে প্রতিভাত হচ্ছে প্রতিটি সেনা ও পুলিশ সদস্যের অন্তরে। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন হায়দার, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, কমান্ডার এডব্লিউজিসি, সদরদপ্তর ৭৭ পদাতিক ব্রিগেড, মোমেনশাহী সেনানিবাস এবং জনাব মোঃ মোখতার আহমেদ বিভাগীয় কমিশনার, ময়মনসিংহ মহোদয়। এর আগে সকাল ৮ টায় রেঞ্জ ডিআইজি’র কার্যালয়, ময়মনসিংহ প্রাঙ্গণে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বেলুন-ফেস্টুন উড্ডয়ন ও শান্তির প্রতীক কবুতর অবমুক্তকরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। পরে এখান থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়- ব্যাট বল চত্বর হয়ে টাউনহল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এরপরেই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিহত সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে- শান্তি মিশনে বাংলাদেশের ৩৭ তম বর্ষপূর্তিতে শান্তিরক্ষীদের বিশ্ব শান্তি রক্ষায় তাদের আত্মত্যাগ ও অমূল্য অবদান শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করা হয়।
Leave a Reply