দিনাজপুর প্রতিনিধি: আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে বিরামপুরে কামারেরা কোরবানী সহ দেশীয় লোহার জিনিস পত্র তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্থানীয় কামারেরা ক্রেতার চাহিদা মিটাতে রাত-দিন এক করে এসব হাতিয়ার তৈরীতে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। জানা যায় কোরবানী ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় ফলে কামারদের কাজের ব্যস্ততা এতই বেড়ে যায় যে, তাদের যেন দম ফেলানোর সময় থাকেনা, স্থানীয় কর্মকারেরা জানান বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে কোরবানী ঈদে তাদের আয় রোজগার হয় বেশি। প্রতিটি উন্নতমানের ধারালো দা ২৮০-৩৮০ টাকা কোরবানীর ছুরি ৫০০-৭৫০ টাকা। পশুর হাড় কাটার জন্য চাপাতি ২৬০-৫৬০ টাকা চামড়া ছাড়ানোর চাকু ১৪০-২৭০ টাকা নারিকেল কোরানী ১০০-২০০ টাকা, মাংস কাটার বটি ২৪০-২৮০ টাকা। আরো অন্যান্য কৃষি উপকরণের ধান কাটার কাঁচি, বটি লাঙ্গলের ফলা সহ অন্যান্য তৈজষপত্র ভালো দামে বিক্রয় হয়। সরোজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কামার পাড়া, পৌর শহরের বিভিন্ন গ্রামের হাট-বাজারে এখন পুরোদমে পশু জোবায়ের ছুরি এবং চামড়া ছড়ানোর চাকু, নারিকেল কোরানী, মাংস কাটার চাপাতি সহ বিভিন্ন লোহার তৈরী জিনিস পত্র তৈরীতে ব্যস্ত রয়েছে কামারেরা। শতাধিক কর্মকার নিয়োজিত রয়েছে তাদের নিকট কাজের সুনামের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন ছুটে আসে কেননা তাদের পেশাগত আচরণে মুগ্ধ করে সবাইকে। শত পরিশ্রমের মাঝেও হাসি মুখে কথা বলে ক্রেতাদের মন জয় করেন। তবে বাজারে আমদানীকৃত হাতিয়ার আশায় আমাদের তৈরী হাতিয়ারে চাহিদা বহুগুনে কমে গেছে ফলে পূর্ব পুরুষে এই পেশা ধরে রাখার দুস্কর হবে বলে মন্তব্যও করেন তারা।
Leave a Reply