মোঃ আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মামুন ভুইয়া হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুর রহমানকে জড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে। আজ ১৪জুন শনিবার পূর্বাচল উপশহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহবুবুর রহমান বলেন, রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়নের মাঝিপাড়ার যুবদল নেতা বাদল ভুইয়া ও ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বাবুর সমর্থিতদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে গত ১০জুন রাতে ব্যবসায়ী মামুন ভুঁইয়া নিহত হয়। এরপর থেকে জাহিদুল ইসলাম বাবুকে আমার আত্নীয় পরিচয় দিয়ে নানা অপপ্রচার করা হচ্ছে। জাহিদুল ইসলাম বাবু আমার কোন আত্নীয় নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অপকৌশলে হত্যাকান্ডের ঘটনায় আমাকে জড়ানোর ষড়যন্ত্রে একটি চক্র লিপ্ত রয়েছে। আমি সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। সেখানে উপস্থিতও ছিলাম না। আমাকে মামলায় আসামীও করা হয়নি। অথচ আমাকে জড়িয়ে কাল্পনিকভাবে মিথ্যা, বানোয়াট, অমুলক, অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবসায়ী মামুন ভুঁইয়ার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক নুর মোহাম্মদ, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলী আহমদ, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহাম্মুদ, তারাবো পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহবায়ক নাঈম মিয়া, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আমিনুল ইসলাম, রুহুল আমিন ও আদনান শরীফ মীর প্রমুখ। উল্লেখ্য গত ১০জুন বিকেলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকার মুদি দোকানদার মামুন ভুঁইয়া আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই দিন রাত ১০টায় নিহত হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বাবুকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত মামুন ভুঁইয়ার বড় ভাই বাদল ভুঁইয়া বাদী হয়ে ১৬জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ১০/১২জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।