নিজস্ব প্রতিনিধি: চাঁদপুর শহরে বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্ব চলছে নীরব চাঁদাবাজি! গত বছর আগস্টের ৫ তারিখের পর থেকেই ব্যাপকহারে চলছে চাঁদাবাজি চালাচ্ছেন তারেক রহমানের সাগরেদ । এতে করে মেঘনা পাড়ের শহরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। চাঁদপুরের ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। গত বছর আগস্ট মাসে ৫ তারিখের পরে কয়েকটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফরিদের লোকজন গিয়ে তালা দিয়ে আসে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবসা চালু করতে চাঁদা দিতে হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা থেকে এক কোটি টাকার মতো। যারা টাকা দিতে রাজি হতো না তাদেরকে মামলার ভয় দেখানো হতো। চাঁদপুর পুরান বাজারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে একজন সংখ্যালঘু নেতা সুভাষ রায় এর মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা তোলা হয়েছে। আগস্ট মাসের শেষের দিকে চারটি মামলা দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রতি মামলার আসামী ৫০০ হতে ৬০০ জন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল কর্মী পর্যন্ত কেউ এখন আর শহরে নেই। কাউকে পেলেই পুলিশ ডেকে এনে ধরিয়ে দেয়া হয়! এরপর জেলে লোক পাঠিয়ে বা তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে প্রস্তাব পাঠানো হয় টাকা দিলে জামিন করিয়ে দেয়া হবে। জামিন চাঁদাবাজির টাকার পরিমাণ ৫ থেকে ১০ লক্ষ! ফরিদের নিজের আইনজীবী ছাড়া অন্য কোন আইনজীবীকে জামিনের জন্য কোটে দাঁড়াতে দেয়া হয় না। কোন আইনজীবী যদি তার অনুমতি ছাড়া দাঁড়ায় তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। কিছুদিন আগে বার কাউন্সিল নির্বাচনে আওয়ামী কোন আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি। কয়েকজন আইনজীবী বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। কোন বিচারক যদি তার অনুমতি ছাড়া জামিন দেয় তাইলে সেই বিচারকের উপরে চড়াও হয় ফরিদের লোকজন! এই বিষয়গুলো বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জানার পর তাকে শোকজ করা হয়। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর এখন আবার নতুনভাবে অন্য কৌশলে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকটি ডায়গনষ্টিক সেন্টারে গিয়ে তার লোকজন চাপ দিয়েছে তাদেরকে শেয়ার দিতে হবে কোন টাকা ছাড়া। বাধ্য হয়ে তারা দিয়েছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিছুদিন আগে একজন ব্যবসায়ীকে বিনা অপরাধে জেলে পাঠানো হয়েছে! এরপর যোগাযোগ করে তার জামিন করাতে নিয়েছে ৫ লক্ষ টাকা! ফরিদের এই স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বিএনপির নেত্রী স্থানীয় কয়েকজন নেতা বিরক্ত। তারাও বিষয়গুলো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফরিদ এবং তার সাংগপাঙ্গদের অত্যাচারে চাঁদপুরের সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
Leave a Reply