নিজস্ব প্রতিবেদক,ঈদগাঁও: বেসরকারী চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ঈদগাঁও মেডিকেল সেন্টার এন্ড হাসপাতালে নার্সের অবহেলায় একবছর বয়সী সোহানা নামের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত শিশু জালালাবাদ ইউনিয়নের পুর্ব লরাবাগের আব্দু শুক্কুরের ছেলে মোহাম্মদ শাকিবের কন্যা।পরিবার সূত্র মতে, গত রবিবার সামান্য সর্দি-কাশি নিয়ে শিশুটিকে উক্ত হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: নজরুল হকের কাছে নিয়ে যান বাবা-মা। ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশনে ওষুধ সেবনের পর শিশুটির শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে পরদিন আবারও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদিন ডাক্তার শিশুকে ইনজেকশনের মাধ্যমে Eryxion 1g (Ceftriaxone) নামে এক অ্যান্টিবায়োটিক প্রদানের নির্দেশ দেন।
শিশুটির পরিবার জানান, ফার্মেসি থেকে ইন জেকশনটি সংগ্রহের পর হাসপাতালের দায়িত্ব প্রাপ্ত নার্স জোৎনা তা মাত্র ৫/১০ সেকেন্ডের মধ্যে দ্রুত পুশ করে দেন। যা শিশুর হাতে ফোলা ভাব সৃষ্টি করে। এরপরও নার্স শিশুটির পরিবার কে এটা সাধারণ বিষয় বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
কিন্তু হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে শিশুটির শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতি হতে থাকে। শুরু হয় খিঁচুনি। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় শিশুটি কে আবারো দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটির বাবা-মা অভিযোগ করেন, সামান্য সর্দি কাশি ছাড়া সন্তানের তেমন কোন জটিলতা ছিল না। নার্সের অদক্ষতা,ইনজেকশন দ্রুত প্রয়োগের কারণেই শিশুর মৃত্যু হয়। তারা এই অদক্ষতা ও অবহেলার বিচার চান। এমন ঘটনায় তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তির দাবিও জানান তারা। এই বিষয়ে নার্স জোৎনা বলেন, অন্য রোগীদের যেভাবে ইনজেকশন দেই, শিশুটিকেও সেভাবেই দিয়েছি। কোন গাফিলতি করিনি। ইনজেকশনে সময় শিশুটির অবস্থাও ভালো ছিল।”সূত্র মতে,অদক্ষ ও ট্রেনিংবিহীন নার্সদের ক্লিনিক বা হাসপাতালের মত সেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসায় যুক্ত করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। হাসপাতালে সনদ প্রাপ্তও অভিজ্ঞ নার্স নিয়োগ বিষয়ে গুরুত্বারোপ সহ বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত। না হয় রোগীদের অবস্থা দিন দিন বিপদজনক হবে। তবে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহছান হকের মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply