1. admin@pressbd.online : admin :
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ফাইতংয়ে বিএনপির বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত মাদরাসাতুল হিদায়াহ ঈদগাহের উদ্যোগে হিফজ শিক্ষার্থীদের সবিনা ও হিজাব প্রদান  ঈদগাঁও মাইজপাড়া বাসীর মিলন মেলা সম্পন্ন খুলনার আয়তুননেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত পটিয়ায় সোলাইমানিয়া নুরে মওলা  অলিম্পিক ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন শ্রীপুরে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  মুক্তাগাছায় আ’লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা যদু গ্রেফতার জনাব তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন লক্ষ্যে মত বিনিময় সভা, চাঁদপুর কে শিল্পাঞ্চলে রূপান্তর করার আশ্বাস – মোস্তফা খাঁন সফরী তারাকান্দায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আ’লীগের নেতা সহ ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল গ্রেফতার কুষ্টিয়ায় ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় নারীসহ নিহত ২

বলসুন্দরী বরই চাষে তিন ভাইয়ের ভাগ্যবদল

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩০ বার পাঠ করা হয়েছে

মো. ইসমাইলুল করিম স্টাফ রিপোর্টার: পার্বত্য জেলার বান্দরবানের বলসুন্দরী বরই চাষে ভাগ্য ফিরেছে দীপ্তিময় তঞ্চগ্যাসহ তিন ভাইয়ের । দীপ্তিময় এবছর ২২ লাখ টাকার বরই বিক্রির প্রত্যাশা করছেন।২০১১ সালে এসএসসি পাশের পর পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে বেসরকারি সংস্থায় চাকুরি করতেন।পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের জুমচাষে সহায়তা করতেন।পরে তার বড় ভাই রাজু ময় তঞ্চঙ্গ্যা, মেঝো ভাই সাজু ময় তঞ্চঙ্গ্যা ও তিনি নিজে তিন ভাই আলোচনা করে ২০২৩ সালের শুরুর দিকে বান্দরবান সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রেইচা সাতকমল পাড়ার নিকটে পৈতৃক ৫ একর পাহাড়ি জমিতে ৯শত বলসুন্দরী বরইয়ের কলম চারা রোপন করেন।যা খুলনার পাইকগাছা থেকে অনলাইনে অর্ডার করে আনা হয়েছিল। গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বাগান যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও ৬ লাখ টাকার বরই বিক্রিয় করা হয়েছিল।এবছর পরিবেশ অনুকুলে থাকায় গত বছরের তুলনায় ৪গুন বেশি ফলন হয়েছে। যার ফলে এবারে এই বাগান থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।বান্দরবান সদর উপজেলা সদর ইউনিয়নের রেইচা সাত কমল পাড়া থেকে পাঁচ কিলোমিটার দুরে ঝিড়ি ঝর্ণা,পাহাড় ডিঙিয়ে ত্রিশ মিনিট হেঁটে গেলেই দীপ্তি ময়দের বলসুন্দরী বরই বাগান। সম্প্রতি সরেজমিনে বরই বাগান পরিদর্শনে গেলে গেলে দীপ্তিময় তঞ্চঙ্গ্যা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, পাঁচ একর জায়গায় গত বছর সাড়ে ৯শ বলসুন্দরী, কাশ্মীরি বরই চারা রোপন করেন।কলম চারা হওয়ায় রোপন করার প্রথম বছরেই ফলন আসে এবং ওই বছরই ছয় লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছি। মোট খরচ হয়েছিল আড়াই লক্ষ টাকা, চলতি বছর আরো সাড়ে আটশ বল সুন্দরী বরই কলম চারা লাগানো হয়েছে সেগুলোতেও গত বছরের তুলনায় এবছর চারগুন বেশী ভালো ফলন এসেছে। এই ৫ একর জায়গায় বর্তমানে প্রায় ১৮ শত বল সুন্দরী বরই গাছ আছে ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে বরই ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে বরই কিনতে দেখতে আসছেন। এবার এই বাগান থেকে প্রায় ২২ লক্ষ টাকার বরই বিক্রি করা যাবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।তিনি আরও বলেন, খুলনা পাইকগাছা থেকে প্রথমে অনলাইনে ৯শত পঞ্চাশ টি কলম চারা ক্রয় করা হয়েছিল। বাগানে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতি চারা ৫০ টাকা হিসেবে ৪৫ হাজার ৫ শত টাকা খরচ হয়েছিল।লাগানো,সার ও পরিচর্যাসহ সব মিলে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল। বর্তমানে তাদের বাগানে ২হাজারেরও বেশি বলসুন্দরী জাতের বরই গাছ রয়েছে। যার মধ্যে ১৮শ ৫০ টি গাছে ফলন এসেছে। গত বছর ২ শত টাকা কেজি দরে পাকা বরই ও ৩শত টাকা কেজি দরে শুকনো বরই বিক্রয় করা হয়েছিল।সেই প্রেক্ষিতে এবার এই বাগান থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকার বরই বিক্রয় করা যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি। বরই ব্যবসায়ী মো. বেলাল হোসেন জানান, এই বরই খুবই সুস্বাদু মিস্টি হওয়ায় বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। এর আগেও তিনি দীপ্তিময় তঞ্চঙ্গ্যার বরই বাগান থেকে বরই পাইকারী দরে কিনে নিয়ে চট্টগ্রাম,কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে লাভবান হয়েছেন তাই এবছরও বরই বাগান দেখতে এসেছেন বলে জানান তিনি।আরেক ব্যবসায়ী আলী আহমদ বলেন, দীপ্তি ময় তঞ্চঙ্গ্যাদের বরই বাগান দেখতে দরদামে মিলে গেলে পুরো বরই বাগানই ক্রয় করে নিবেন বলে জানান তিনি।প্রতিবেশী মংক্য চিং মারমা বলেন তিনি নিজেও বাগান চাষী, এলাকার সবাই দীপ্তি ময় তঞ্চঙ্গ্যাদের বরই বাগানের প্রশংসা করতে শুনেছেন তাই নিজে দেখতে এসেছেন। তিনি দীপ্তিময় তঞ্চঙ্গ্যাদের কুল বরই বাগান দেখে নিজেও উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন পাহাড়ের পতিত জায়গায় ফলদ বাগান করলে যুবকরা যেমন লাভবান হচ্ছেন ঠিক তেমনি পরিবারের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে । বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এমএম শাহনেয়াজ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলায় জুম চাষের পাশাপাশি এখন ব্যাপকভাবে ফলদ বাগান করা হচ্ছে বর্তমান মৌসুমে কুল বরই প্রচুর আবাদ হচ্ছে, এই ফল এখানকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে। জেলায় বল সুন্দরী,আপেল কুল,কাশ্মীরি কুল,নারিকেল কুল প্রজাতির বরইয়ের বেশ আবাদ হচ্ছে। এবার জেলায় ১৫শত হেক্টর জায়গায় কুল বরই আবাদ হয়েছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে স্থানীয় কৃষকরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। একেকজন কৃষক যদি বছরে দশ লক্ষ থেকে বিশ লক্ষ টাকা যদি এ ফলদ বাগান থেকে আয় হয় তাহলে এটা এখন অর্থকরী ফসল হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। এছাড়া তিনি ফলদ বাগান লীজ না দিতে কৃষকদেরকে অনুরোধ করেছেন এবং বাগানের সুষ্ঠু পরিচর্চা করার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের পরে বিক্রয়ের আগে বালাইনাশক স্প্রে না করার পরামর্শ প্রদান করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
January 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি