দক্ষিণ (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরী:জাতীয় পার্টির বহিস্কৃত কো- চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কারের পর নিজ সংসদীয় এলাকার লোকজন ও দলীয় নেতা কর্মীরা আনিসকে দেশের রাজনীতির আবর্জনা বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। যে লোক এতবার এমপি মন্ত্রী হওয়ার পর এলাবাসী এবং দলীয় নেতা কর্মীদের কোন পাত্তা দেয়নি। আপদ বিপদে দলীয় নেতা কর্মীরা তার কাছে গেলে কোন কাজের সহযোগিতা চাইতে গেলে কাজ করা দুরের কথা বিভিন্ন সময় অপমানিত হয়ে আসতে হয়েছে বলে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতার অভিযোগ। চট্টগ্রামে জাতীয় পার্টিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করার মূল ষড়যন্ত্রকারী ব্যারিস্টার আনিস। জাতীয় পার্টি থেকে গত সোমবার বহিস্কার করার পর দলীয় নেতা কর্মীরা জাপার চেয়ারম্যান জি.এম কাদেরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান এবং জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম এ অঞ্চলে এবার ঘুরে দাড়াবে বলে নেতা কর্মীরা জানান। ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জাতীয় পার্টির বহিস্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য-কো চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৭৯ সালের বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাত ধরে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে বিএনপির সাথে বেঈমানী করে এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ৩য় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ আসন ২য় বার এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালের ৪র্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপার প্রার্থী হিসেবে ৩য় বার এমপি নির্বাচিত হন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বিরোধী দলের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত জাতীয় পার্টিকে নিয়ে যত নাটক এবং ভাঙ্গা গড়ার কারিগর ছিলেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপার হয়ে মহাজোট থেকে ৪র্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ এবং ২০১৮, ২০২৪ সালে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন সব মিলে ৭ বার সংসদ নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হয়ে সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের মধ্যে শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রনালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়, তথ্য মন্ত্রনালয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপর্ণ মন্ত্রনালয়ের কিছু সময় পূর্ণ সময় দায়িত্ব পালন করলেও সংসদীয় এলাকা এবং দলীয় নেতা কর্মীরা তার দ্বারে কাছেও ভিড়তে পারেনি। এমনকি চট্টগ্রাম উত্তর দক্ষিণ মহানগর জাতীয় পার্টি কে শক্তি শালী করতে কোন সময় উদ্যােগ নেয়নি। এমনকি তার নিজ উপজেলা জাতীয় পার্টি কমিটিও নেই বলে নেতা কর্মীদের দাবি। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী খোরশেদ আলম,পটিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ডাক্তার খোরশেদ আলম, দক্ষিণ জেলা যুবসংহতির নেতা দিদারুল আলম, দুলা মিয়া চৌধুরী মেম্বার, রাজিব চৌধুরী রাজু, এম ইরফানসহ অনেক জাতীয় পার্টি নেতা কর্মীদের সাথে কথা বললে তারা জানান,আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এত বছর এমপি মন্ত্রী ছিলেন নিজ এলাকার জাতীয় পার্টির একজন কর্মীও উনার মাধ্যমে উপকৃত হয়নি, উনি যা করেছে নিজের জন্য করেছে, ষড়যন্ত্র করে ব্যক্তিগত সুবিধা নেয়ার কাজে ব্যস্থ ছিলেন, সারা দেশের তৃণমূল নেতা কর্মীরা পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের উপর চাপ সৃষ্টি করে বহিস্কার করা হয়েছে উনার মত খারাপ মানুষ পার্টিকে থাকার অধিকার রাখে না উনাকে যেন দেশের কোন দল না নেন বিভিন্ন দলের প্রতি অনুরোধ রইল। আনিস প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল কবির দিদার বলেন, আনিস সাহেব পার্টির জন্য একটা আর্বজনা উনাকে বহিস্কারের পর জাতীয় পার্টি আবর্জনামুক্ত হয়ে পরিস্কার হয়েছে এরশাদ প্রেমি লোকজন দিয়ে জাতীয় পার্টি পরিচালিত হবে, উনার এলাকার লোকজনও খুশি, পার্টির সাইন বোর্ড বিক্রি করে নিজের ফায়দা হাসিল করেছে, দলের স্বার্থকে বির্সজন দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থকে প্রধান দিয়েছে উনি, উনাকে বহিস্কারের খবরে চট্টগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে, উনার কারণে হাজার হাজার নেতা কর্মী পার্টি ছেড়ে দিয়েছে এখন তারা আবার জাতীয় পার্টিকে ফিরে আসবে বলে তিনি জানান। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবু তাহের ও নগর জাতীয় ছাএসমাজ সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন সিদ্দিকী জানান,আনিস বহিস্কারের জন্য দেশের ৬৪ জেলার নেতা কর্মী এবং প্রেসিডিয়াম মিটিং এ সবার মতামতের ভিত্তিকে বহিস্কার করা হয়েছে আনিস সাহেব নির্বাচনের সময় মনোনয়ন বাণিজ্য করত, জাতীয় পার্টিকে নিয়ে সারাজীবন ষড়যন্ত্র করেছে, উনার কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে জাতীয় পার্টি সাংগঠনিকভাবে শক্ত করে দাড়াতে পারেনি, উনি সাংগঠনিক কাজে বাঁধা হয়ে দাড়াত, জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতা কর্মীরা উনাকে বহিস্কার করায় খুব খুশি উনার এলাকার লোকজনও খুশি জিএম কাদেরকে সারা দেশের নেতা কর্মীরা অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আনিসুল ইসলাম মুলত তার নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ সংগঠিত করেছে। মুলত তারা দল বিক্রি করে অটো এমপি হয়েছেন। বহিস্কারের বিষয়ে জানার জন্য জাপার কো চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি দলের মধ্যে বহিস্কার আবিস্কার এটা কোন বিষয় না বলে লাইন কেটে দেন। বর্তমানে আনিসুল ঢাকায় নেতাই মিলন করছে। এর কোন ফল আসবে না বলে অভিমত প্রকাশ করেন চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীরা।
Leave a Reply