ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:ম ফস্বল এলাকায় সফলতা অর্জন, সংগ্রাম, সাহসীকতা আর আলোকিত শিক্ষক হিসেবে নতুন রুপে পথচলা শুরু খুরশীদুল জন্নাতের। মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র আর সব বাঁধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে সত্য ও ন্যায়ের সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার আলোর মশাল জ্বালাতে। সততা ও সত্য গর্তের ভেতর থেকেও ভেসে উঠবে, এটি চিরন্তন। মিথ্যা দিয়ে কখনো সত্যকে আড়াল করা যায়না। কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা খুরশীদুল জন্নাতের সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অভূতপূ্ণ পরিবর্তন ছোঁয়া লেগেছে। অবকাঠামোসহ একাডেমী উন্নয়নে। ২০১০ সালে স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা যোগদানে পর থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন ও লেখাপড়ার মানোন্নয়নে অভাবনীয় ভূমিকা রেখে পথ চলছেন। সূত্র মতে- বিদ্যালয়ে জমি উদ্ধার, চারপাশে পাকা দেয়ার দিয়ে ঘেরা প্রদর্শন করে সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরন, মূল ফটকে অত্যাধুনিক গেইট নির্মাণ, ভবন সম্প্রসারণ, শহীদ মিনার নির্মাণ- বিদ্যালয়ে নান্দনিক বাগান তৈরি, চমৎকার সেমিনার হল, অনন্য সুন্দর পাঠাগার স্থাপন করে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছেন সাহসী প্রধান শিক্ষিকা খুরশীদুল জন্নাত। জানা যায়,বিদ্যালয়ের একাডেমিক সাইট উন্নয়নে প্রধান শিক্ষিকাই সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। প্রতিবছরেই পড়ালেখার দিক দিয়েও সুনাম অক্ষুন্ন রেখে যাচ্ছেন। রাখছেন। শ্রেণীকক্ষে পাঠদান সহ শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখে। সঠিক আর নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত হলে উচ্চশিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিতরাও একদিন সফল হয়ে নারী সমাজের কছে একজন সফল নারীর দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে। আবার কাউকে দেখা যায়, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দক্ষতা আর সততার সঙ্গে কাজ করে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় উন্নতি করতে করতে একের পর এক পদোন্নতি পেয়ে মর্যাদাশীল উচ্চতর পদে পদোন্নতি লাভ করে, কেউ হয়ে উঠে শ্রেষ্ঠ জয়িতা খেতাব, কেউবা জেলা-উপজেলা জুড়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে সম্মানে সম্মানিত হয়ে মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবে সফলতার মুখ দেখেন। এভাবে নারীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে। ঠিক একই ভাবে সুযোগ্য নারী শিক্ষক খুরশীদুল জন্নাতও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সফলতায় একধাপ এগিয়ে গেছেন। প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জন্নাত শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্টান প্রধানও নির্বাচিত হয়ে সফলতা অর্জন করেন তিনি। প্রাপ্ত তথ্য মতে, নানা অভিযোগের ভিত্তিতে ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে পদত্যাগের হিড়িক তুলে বিদ্যালয় থেকে অপদস্ত করে সরিয়ে দিলেও সেটি বেশিদিন স্থায়ী হওয়ার সুযোগ দেননি শিক্ষিকা খুরশীদুল জন্নাত। ১ ও ১০ সেম্প্টম্বর তাঁর বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ দুই দফে তদন্ত করেও প্রমাণ পাননি গঠিত তদন্ত কমিটি। ২৬ নভেম্বর খুরশীদুল জন্নাত বিদ্যালয়ে আসলে তাকে বরণ করে নেন ঈদগাঁওবাসী। অনেকটা খুশিতে আত্মহারা হয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদ্যালয় আঙ্গিনায় প্রবেশ করেছিলেন।অবশেষে সব মিথ্যাকে ডিঙ্গিয়ে সত্যরুপে প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্বপদে ফিরে এসে সাহসীকতার পরিচয় দিলেন খুরশীদুল জন্নাত। এটি শিক্ষকতা জীবনে বড়ই সফলতা।
Leave a Reply