ওয়াহিদ মুরাদ, খুলনা ব্যুরো চীফ–দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের চন্দনীমহল বাজার সংলগ্ন ভৈরব নদী তীরের মহাশ্মশানের জায়গা দখলকে নিয়ে এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। খবর পেয়ে দিঘলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি দেবাংশু বিশ্বাস ও দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি দখল উচ্ছেদ করে সাবেক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য তাৎক্ষনিক নির্দেশ দিয়েছেন দখলদারদের প্রতি। দখলদারগণ তাদের কাঠের গুঁড়ি, ঘেরা দেওয়া সিমেন্টের খুটি ও তার তাৎক্ষনিক অপসারণ করা হয়েছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের চন্দনীমহল বাজার সংলগ্ন ভৈরব নদী তীরের মহাশ্মশান। শতাধিক বছরের পুরাতন এ এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান এটি। কিন্তু গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে চন্দনীমহল মল্লিকপাড়া নিবাসী নাইলো মল্লিকের পুত্র মোঃ মুনছুর মল্লিক, মুনছুর মল্লিকের পুত্র কবির মল্লিক, খায়রুল মল্লিক ও রবিউল মল্লিকসহ ৩০/৩৫ জনের একটা সংঘবদ্ধ চক্র ঘটনাস্থলে আসে। তারা তাদের সাথে আনিত ট্রাক্টর দিয়ে মহাশ্মশানে যাতায়াতের সরকারি অর্থায়নে নির্মিত পাকা রাস্তাটি খুঁড়ে ফেলে এবং রাস্তাসহ শ্মশানের আংশিক জায়গা সিমেন্টের ঢালাই খুটি ও এসএস তার দিয়ে ঘেরা দিয়ে দখলে নেয়। গতকাল শনিবার সকালে খবর পেয়ে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা দল বেঁধে দিঘলিয়া থানায় গিয়ে ঘটনা জানালে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন ও ওসি তদন্ত টোকনুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে সংবাদ পেয়ে দিঘলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি দেবাংশু বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তাঁরা উপস্থিত থেকে অবৈধ দখলমুক্ত করেন। রাতের অন্ধকারে সরকারি রাস্তা খোঁড়ার জন্য তিরষ্কার করেন। সরকারি রাস্তা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য দখলদারদের নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে উক্ত মহাশ্মশানের পক্ষে কৃষ্ণ কুমার শীল বাদী হয়ে দিঘলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দিঘলিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা বাবু তারক, সভাপতি সৌমিত্র কুমার দত্ত ও সাদারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন। দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন এ প্রতিবেদককে জানান, আমি সংবাদ পেয়ে তৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সহকারি কমিশনার স্যারকে ঘটনা অবহিত করা হলেও তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দখলমুক্ত করা হয়েছে।
Leave a Reply