পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরী:-চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় খালাস পেয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন জাতীয় পার্টি পটিয়া উপজেলার সাবেক সভাপতি ন পটিয়ার হাফিজুর রহমান হাফিজ (৬১)। তিনি ওই মামলায় এরই মধ্যে ১০ বছরের অধিক সময় সাজা খেটেছেন। হাফিজুর রহমান হাফিজ চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মাঝেরঘাটা গ্রামের মৃত নুর আহম্মদ সওদাগরের ছেলে। সুদর্শন হাফিজ তিনি আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। ২০০৫ সালের ২৬ অক্টোবর হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে হাফিজুর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি জেলার ইব্রাহিম রাজু। তিনি বলেন, ‘১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় কে এম এনামুল হকের মুক্তির পর পৌনে ৬টার দিকে হাফিজুর রহমানকেও মুক্তি দেওয়া হয়। তার সাজার মেয়াদ কমানোয় কাগজপত্র দেখে তার মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’এর আগে, আজ বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে মুক্তি পান চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক। এদিন একই মামলায় কাশিমপুর ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরও পাঁচজন। এরপর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্রে জানা গিয়েছিল, জাতীয় পার্টির নেতা পটিয়ার হাফিজুর রহমানের মুক্তি পেতে দেড় থেকে দুমাস সময় লাগতে পারে। কারণ হিসেবে কিছু প্রক্রিয়ার কথা জানায় সূত্রটি। চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড থেকে লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয়জন খালাস পান। পরে ১৪ জানুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ পাঁচজনের সাজা কমানোর রায় দেন। রায়ে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়া হাফিজুর রহমানসহ জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার তৎকালীন মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, এনএসআইয়ের সাবেক উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন এবং তৎকালীন পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাব উদ্দিন আহাম্মদের সাজার মেয়াদ কমিয়ে ১০ বছর করা হয়। এছাড়া যাবজ্জীবন পাওয়া ১৪ জনের মধ্যে পরেশ বড়ুয়ার সাজা কমিয়ে ১৪ বছর করা হয়। এদিকে হাফিজুর রহমান মুক্তি পাওয়ায় পটিয়া উপজেলা ও পৌর এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দ উল্লাস প্রতিক্রয়া ব্যাক্ত করতে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান,দীর্ঘ ১৯ বছর পর পটিয়ার কৃতি সন্তান মুক্তি পাওয়ায় তারা খুশি অনুভব করছেন।
Leave a Reply