লামা প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামার উপজেলায় ৩০৬ নং ফাইতং মৌজার আর/২৩৪০ নং হোল্ডিং আন্দর ৫.০০ (পাঁচ) একর ৩য় শ্রেনীর জায়গা আলী আহাং ১৯৮২/৮৩ ইং সনের ৫৪০৭ নং বন্দোবস্তি মোকদ্দমা মূলে সরকারের নিকট থেকে বন্দোবন্তি প্রাপ্ত হয়ে, চকরিয়া ও লামা কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী মমতাজুল ইসলাম দীর্ঘবছর শান্তিপূর্ণ’ভাবে পরিবারের সকল’কে নিয়ে ভোগদখলে আছেন। এমতাবস্থায় আইনজীবীর বসতবাড়ি জায়গা’তে গত বৃহস্পতিবার (১৩/১৪ জানুয়ারী) দিনদুপুরে এঘটনা ঘটায় ভাড়াটিয়া বহিরাগত সন্ত্রাসীরা দখল নিতে বিভিন্ন কৌশলে জবরদখল, গাছকেটে ও ভূমি দস্যুরা জোরপূর্বক দখল’ দুইদিন ধরে গাছ চুরি করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ি টীম উপস্থিত হওয়াতে বিবাদীগন জায়গা জোরপূর্বক দখল ও গাছকাটা বন্ধ হয়। মূলত অভিযুক্ত ৭ নং ওয়ার্ডে জায়গা’টি ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী চক্র বলে বাগান বাড়ি ভাঙচুর, লুটতরাজ ও বাগানের গাছগাছালি কেটে নিয়ে যায়। এসব বিষয়ে গত ১৫ জানুয়ারি লামা কোর্টে ১১জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গন্য করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য নির্দেশ দেন। লামা কোর্ট এজাহারের সূত্রে অভিযুক্তগন হলেন ১। জালাল উদ্দিন প্রকাশ বাদশা (৪০), পিতা- মৃত আব্দুল নবী, ২। হেলাল উদ্দিন (৩৫), পিতা- মৃত আব্দুল নবী, মগনামা পাড়া,৩। বদিউল আলম (৫০), পিতা- জাফর আলম, ৪। মনোয়ারা বেগম (৪৫), স্বামী- বদিউল আলম ৫। জসিম উদ্দিন (৩০), পিতা- আবু তাহের, ৬। কুলছুমা বেগম (২৫), স্বামী- জসিম উদ্দিন,৭। লোকমান (৪০), পিতা- আহম্মদ কবির ৮। জাকের হোসেন (৫৫), পিতা- মোজাম্মেল হক, ৯। আব্দু শুকুর (৩০), পিতা- দিল মোহাম্মদ,১০। করিম দাত (৭০), পিতা- মৃত নুর আহাম্মদ, ১১। জিয়াবুল হক (৪০), পিতা- করিম সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন লোক। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে বিভিন্ন ধারালো দা, লোহার রড ও লাঠি-সোটা ইত্যাদি নিয়ে আইনজীবীর বাড়ির উপর আক্রমন করে জায়গা অভিযুক্তদের কয়েক জনের ক্রয়কৃত বলে দাবিকরে জোরপূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা চালায়।আইনজীবী মমতাজুল ইসলাম জানান, ক্রয় সূত্রে এই জায়গা মালিক আমি বন্দোবস্তি মোকদ্দমা হওয়ার পর হইতে তথায় বহু অর্থ ও কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘরবাড়ি নির্মান করে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছের বাগান সৃজন করে পরিবার পরিজন নিয়ে অদ্যবধি পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে স্থীত আছি। বর্তমানে আমাদের উক্ত জায়গার মূল্য অতি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং গাছপালা বড় হওয়ার সুবাদে সকল আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসে উক্ত জায়গার প্রতি দূর্লোভের বশবর্তী হয়ে জায়গা ও গাছপালা গ্রাস করার কুমানসে দীর্ঘদিন ধরে জোর পূর্বক জরব দখল ও গাছপালা কেটে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করিয়া আসিতেছে গত ৪/৫দিন আগে আমাদের অজান্তেই হঠাৎ উক্ত সন্ত্রাসী বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন অস্ত্র শস্ত্র যথা: ধারালো দা, ছুরি, লোহার রড, লোহার হাতুড়ি, লোহার খন্তা, মোটা লাটিসোটা ইত্যাদি নিয়ে বে-আইনী জনতাবদ্ধে ঘটনাস্থলে আমার বসত বাড়িতে প্রবেশ করিয়া বসতবাড়ি ভাঙচুর করে গাছ কেটে নিয়ে যায়। পাশ্ববর্তী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২/৩জন ব্যক্তি বলেন, এই জায়গা মালিক আইনজীবী মমতাজুল ইসলামের আমরা জানি আজ না দীর্ঘবছর ধরে। তবে অভিযুক্ত কয়েক জন’কে চিনি বহিরাগত তারা এসে মমতাজুল ইসলাম ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে দিনে গাছ বাগান কেটে নিয়ে যায়। আমরা এঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কয়েকজন সাথে একাদিক বার মুঠোফোন যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কল রিসিভ করে নাই,তাই বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে লামা থানা ইনচার্জ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply