পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরী:-চট্টগ্রামের পটিয়ায় কিন্ডারগার্টেন স্কুল স্বর্ণপদক মেধাবৃক্তি পরিক্ষার সনদ ও বৃক্তি প্রদান অনুষ্ঠান ১৭ মে শনিবার মীনা কনভেনশন হলে সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ পটিয়া উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম। শিক্ষক রুপক শীল ও রিতু বড়ুয়ার যৌথ সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী, প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি হাবিব রহমত উল্লাহ, সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আবু জাফর চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন, পটিয়া খলিল মীর কলেজের অধ্যক্ষ এস. এম. মিছবাহ উর রহমান, পটিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার ইমদাদুল হাসান, শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা রোকেয়া আক্তার, মোহাম্মদ জাহেদুল হক, সমাজ সেবক কামাল উদ্দিন, কনি দে ইমন প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে ট্যালেন্টপুল ৬ জনকে স্বর্ণপদক সহ মোট ৭০৮ জন বৃত্তি প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আড়াই হাজার শিক্ষাথীসহ অভিভাবক, শিক্ষক সব মিলিয়ে পাঁচ হাজার মানুষের মিলনমেলা ঘটে। সভায় বক্তারা বলেন, বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান আমাদের সন্তানদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে। আমরা তাদের মাঝে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি করতে চাই। যাতে তারা মানুষের মত মানুষ হতে পারে। অবস্থা পরিবর্তনের একমাত্র হাতিয়ার শিক্ষা। শিক্ষাই সবার মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে দেয়। সফলতার জন্য শর্টকাট কোন রাস্তা নেই। যারা পড়ালেখায় ফাঁকিবাজি করবে তাদের জীবনও ফাঁকিবাজিতে পড়ে যাবে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বক্তারা আরোও বলেন, সামনে তোমাদের জন্য তীব্র প্রতিযোগিতা অপেক্ষা করছে। তার প্রস্তুতি তোমাদের এখন থেকেই নিতে হবে। শুধু পুস্তকের লেখাপড়ায় কাঙ্খিত সাফল্য পাওয়া যাবেনা। দেশ, দেশের স্বাধীনতা, মূ্ল্যবোধ, সারা বিশ্ব সম্পর্কে তোমাদের ধারণা রাখতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গলের ব্রত তোমাদের মননে থাকতে হবে। দেশ যদি এগিয়ে যায় তাহলে আমরাও এগিয়ে যাব। কখনও পিতা-মাতার মনঃকষ্টের কারণ হবনা। কারন, তারা সর্বোচ্চ দিয়ে তোমাদের মানুষ করেছে। তাদের ত্যাগ, তাদের পরিশ্রমকে কখনো অবমূল্যায়ন করবেনা।
Leave a Reply