প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৫, ৭:৪৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ১০:৪৭ এ.এম
গজারিয়া ইলেকট্রিক শক মেশিন দিয়ে মাছ শিকার, হুমকির মুখে
গজারিয়া প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা মেঘনা নদীর শাখা নদীতে ব্যাটারি চালিত বৈদ্যুতিক শক দিয়ে রাতের আঁধারে মাছ শিকার করার অভিযোগ উঠছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র। এতে নদীতে দিন দিন মাছ কমছে মাছের সংখ্যা। পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে সাধারণ জেলেরা খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার বড় রায়পাড়া ভাটেরচর,ইসমানিরচর,বাউশিয়া ও নয়াকান্দি গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীর শাখা নদীতে রাতের আধারে কিছু অসাধু জেলে বৈদ্যুতিক শক মেশিন দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছেন স্থানীয়রা জানান, নদীতে ক্রমেই বাড়ছে কারেন জাল, রিং জাল, চায়না চাই এর ব্যবহার। যার কারনে নদীতে কাঙিত মাছ মিলছেনা । নতুন করে যোগ হয়েছে এই বৈদ্যুতিক শক মেশিন। বৈদ্যুতিক শক মেশিনে মাছ শিকার করায় মাছের পোনা, ডিমসহ অন্যান্য জলজপ্রাণীও মারা যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় মাছের জন্য হাহাকার দেখা বলে জানান স্থানীয়রা স্থাণীয় জেলে জীবন বলেন, আগে নদীতে জাল ফেললেই মাছ পেতাম। এখোন সারাদিন বসে থেকেও মাছের দেখা পাইনা। যা পাই তা দিয়ে সংসার চলেনা। একেইতো কারেন্ট জাল আর চায়না চাই দিয়ে ব্যাপক আকারে মাছ আগেই ধরে মাছের বংশ শেষ করে ফেলছে এখোন আবার যোগ হয়েছে বৈদুতিক মেশিন মাছ মনে হয় ওরা নদীতে আর রাখবো না নয়াকান্দি গ্রামের জেলে সতীশ বলেন, নদীতে আগের তুলনায় মাছ পাওয়া যায় না। জেলেরা সারা দিন বসে থাকে জাল নিয়া। সারা দিনে পাচঁশত টাকার মাছও পায়না। মেশিন দিয়েও ছোট বড় মাছগুলো মেরে ফেলা হচ্ছে যার ফলে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে।সারাদিনে ২শ টাকার মাছ পাই না। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারো দিন কাটাতে হবে। এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন,নদীতে এ ধরনের বৈদ্যুতিক শক মেশিন দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে বলে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
প্রকাশক:ডিএম মাইনউদ্দিন আহাম্মেদ,সম্পাদক: এডভোকেট সেলিনা সুলতানা শিউলি বার্তা সম্পাদক: মোঃ সালাহ্ উদ্দিন মোল্লা