প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৫, ১১:০৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২৭, ২০২৪, ৯:৪৭ এ.এম
নেত্রকোনায় এবার দাম বেড়ে ক্রেতার না গালের বাইরে চেপা শুঁটকি
নেত্রকোনা: দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা চলছে ভোগ্যপণ্যের বাজারে। গত সপ্তাহে চটেছিল মসলার বাজার। এবার দাম বেড়ে ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে শুঁটকি মাছও। মাসের ব্যবধানে সব ধরনের শুঁটকি মাছের কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৩শ টাকা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাগরে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়া,শুঁটকি তৈরির অন্যতম উপাদান লবণের দাম বৃদ্ধি ও হিমায়িত করে মাছ বিদেশে রপ্তানি করার কারণে শুঁটকির উৎপাদন কমে গেছে। পাশাপাশি আগের তুলনায় পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ার কারণে শুটকির দামও এখন বাড়তির দিকে। নেত্রকোনার বিভিন্ন শুঁটকির দোকানে ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ৩শ টাকা বেড়ে রাঙাবালি শুঁটকি ৩ হাজার ২শ টাকায় ও লাক্ষা শুঁটকি ৪ হাজার ১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে লইট্টা শুঁটকি ৭৫০, ফেওয়া শুঁটকি ৫৫০, হিছুটিমলা শুঁটকি ৫৫০, ছুরি শুঁটকি ৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে চিংড়ি শুঁটকি ৫৫০ টাকায়, ২০ টাকা বেড়ে বাঁশপাতা সিদল শুঁটকি ৪৩০ ও কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে চেঁপা শুঁটকি (বড়) ৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছুয়া বাজারের শুঁটকি ব্যবসায়ী ইকবাল বলেন, লবণের দাম আগে ৬শ টাকা ছিল, এখন ৯শ টাকা। তার উপর সাগরে মাছ কমে গেছে, হিমায়িত মাছের রপ্তানি বেড়েছে। তাই আমাদের দেশে শুঁটকির উৎপাদন অনেক কমে গেছে। শুঁটকি আমদানি করতে গিয়েও বাড়তি খরচ দিতে হচ্ছে। আমাদের দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ, শ্রমিকের মজুরি তো আছেই। সবমিলিয়ে দামটা বেড়েছে। তাই ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে। আরেক ব্যবসায়ী মো. এনাম বলেন, বাজারে মাছের দাম বেশ চড়া। এক কেজি ছুরি শুঁটকি উৎপাদনে পাঁচ থেকে ছয় কেজি মাছ লাগে। আট কেজি লইট্টা মাছ শুকালে এক কেজি লইট্টা শুঁটকি পাওয়া যায়। তার উপর লবণ আর মজুরি বেড়েছে। তাই দাম বেশি। জানা গেছে, এখন বাজার দখল করে থাকা অধিকাংশই আমদানি করা শুঁটকি। মিয়ানমার, ভারত ও পাকিস্তান থেকে এসব শুঁটকি আমদানি করা হয়ে থাকে। এদিকে বাজারে প্রতিকেজি গোল বেগুন ৮০, লম্বা বেগুন ৬০, হাইব্রিড শসা ৮০, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুমুখি ৫০, বরবটি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৪০, লাউ আকারভেদে ৪০ থেকে ৬০, চালকুমড়া ৪০, ঢেঁড়স ২০ থেকে ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি রুই আকারভেদে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি মলা মাছ ৩৬০, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, বড় সাইজের ইলিশ এক হাজার ২০০ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও ছোট সাইজের ইলিশ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, সোনালি ২৮০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
প্রকাশক:ডিএম মাইনউদ্দিন আহাম্মেদ,সম্পাদক: এডভোকেট সেলিনা সুলতানা শিউলি বার্তা সম্পাদক: মোঃ সালাহ্ উদ্দিন মোল্লা