ওয়াহিদ মুরাদ, খুলনা ব্যুরো চীফ--দিঘলিয়ায় কাঁচা বাজারের অবস্থা অস্থিতিশীল, শীত মৌসুমেও সবজি বাজার বেসামাল। শীতের এই ভরা মৌসুমেও দিঘলিয়ার বাজার গুলিতে সত্তর টাকার নীচে মিলছে না কোনো সবজি। নভেম্বর মাস প্রায় শেষ, চলছে শীত মৌসুম। টাটকা সবজিতে বাজার ভরপুর। সাজিয়ে রাখা হয়েছে সবধরনের সবজি। দিঘলিয়ার বাজার গুলিতে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দিন দিন বেড়েই চলেছে সবজির বাজার। একমাসের ব্যবধানে বেসামাল হয়ে উঠছে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জিনিসের মূল্য। সত্তর টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। পেঁয়াজ ও আলুতে শুল্ক কমালেও এর বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি দিঘলিয়ার বাজারে। উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করলেও কোনভাবে নিয়ন্ত্রণে আসছে না দ্রব্যমূল্য। দিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের। দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতিকেজি নতুন আলু ১০০ টাকা, পুরাতন আলু ৭৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দেশি রসুন ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২৪০ টাকা, ফুলকপি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, শালগম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, শাতকালীন শীম ৮০ টাকা, বরবটি শিম ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, টমোটো ১৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, লালশাক ও ঘিকাঞ্চন শাক ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ একমাস আগেও দিঘলিয়ার বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি পুরাতন আলু ৭৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ২২০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, শালগম ৬৫ টাকা, মূলা ৪৫ টাকা, শীতকালীন শীম ৮০ টাকা, বরবটি শিম ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, টমোটো ১৮০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা, লালশাক ও ঘিকাঞ্চন শাক ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এদিকে দেশে আলু এবং পেঁয়াজের বাজারমূল্য ও সরবরাহ বিবেচনায় বাংলাদেশ ট্রেড এ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাক্রমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আলু আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার পাশাপাশি ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে দিয়েছে। এত সত্বেও কমছে না ঐ সকল অন্যের মূল্য। এমনকি কমছে না ভোজ্য সয়াবিন তেলের মূল্যও। বাজারে বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫ লিটার) বিক্রি হচ্ছে ৮৭৫ টাকা দরে। যা লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লুজ সয়াবিন। খুচরা বাজারে প্রতিলিটার ১৮০ টাকা, সুপার তেল ১৭৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধগতিতে মানুষ এখন দিশেহারা। এ অবস্থায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।