তপু রায়হান রাব্বি ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার যেন মরুভূমিতে সুই খোঁজার চ্যালেঞ্জ। আর এ চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা দক্ষ অফিসার এএসআই মোঃ সুমন মিয়া। জানা যায়, ফুলপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডেফুলিয়া গ্রামের আঃ রহিমের ছেলে মজিবর রহমান (২৫) গত ২০২২ইং সালে কিস্তিতে টাকা উত্তোলন করে ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড walton শোরুম থেকে একটি মোবাইল ফোন ক্রয় করেন। পরে ১ সপ্তার মধ্যেই ঘর থেকে চুরি হয়ে গেলে ওই দিনি ২৯/০৫/২০২২ইং তারিখ রাতে ফুলপুর থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং-১২৩৭। ২ বছর ৬ মাস ৫ দিন পরে গত ২৪ নভেম্বর রাতে আবারো এসআই সুমন মিয়ার সাথে বিস্তারিত কথা বলেন তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ তপু রায়হান রাব্বি ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বাহার উদ্দিন। পরে থানায় দায়েরকৃত জিডির প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দু'দিনের মাঝে মোবাইলের সন্ধান খুঁজে পান বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর দক্ষ অফিসার এএসআই সুমন মিয়া এবং উদ্ধার করে ২ ডিসেম্বর সোমার রাতে ফুলপুর থানার ওসি মোঃ আব্দুল হাদির মাধ্যমে মোবাইল হস্তান্তর করা হয় প্রকৃত মালিকে। এএসআই সুমন মিয়া বলেন, জনগণের পাশে থেকে সেবা করাটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। তবে অসহায় অবহেলিত বঞ্চিত মানুষের বন্ধু তপু ভাইয়ের এ কাজটি অনেকদিন ধরে থানায় পেন্টিং এ ছিল। উনি আমাকে অবগত করলে আমি তাৎক্ষণিক ওসি মোঃ আব্দুল হাদি স্যারের সাথে কথা বলি এবং ওসি মহোদয়ের দিকনির্দেশে উক্ত মোবাইলের তদন্তেনামী। পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারি মোবাইলটি নারায়ণগঞ্জ আছে। মোবাইল উদ্ধার হলেও সে মোবাইলে ব্যবহারকৃত সিমের সূত্র ধরে চোর খোঁজা শুরু করি। জানতে পারি হালুয়াঘাটের স্বদেশী ইউনিয়নের নাশুল্লা (গার্মেন্টস কর্মী নারায়ণগঞ্জ) শাহীন মিয়া নামের উক্ত মোবাইলটি চালাতেন। তবে তার পাশের ঘরের কাকার স্ত্রীর নামের রেজিস্ট্রেশন ছিল সিমটি। কাকা এবং কাকীর জবানবন্দিতে জানা যায় তাদের ওই সিমটি মোবাইল সহ চুরি হয়ে যায় গত ৭/৮ মাস আগে। পরে দায়িত্ব দেওয়া হয় অত্র ওয়ার্ডের মোঃ ফারুক মেম্বারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সঠিক সমাধানের জন্য। আরো জানা যায়, মোবাইলটি ফুলপুরের রূপসী ইউনিয়নের নৈহাটি গ্রামের জসিম উদ্দিনের স্ত্রী উপহার দেয় খালাতো ভাই শাহীনকে। মোবাইলটি প্রায় এক বছর বন্ধ ছিল। বন্ধ থাকার পর জসিম উদ্দিনকে দেন। তবে মোবাইলটি পাই ভিকটিমের বাড়ির পাশের লোকজনের কাছ থেকে বলেও জানা যায়। সেই সূত্র ধরে প্রকৃতপক্ষের চোরকে ধরার জন্য তৎপরতা চলছে।