প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ১১:২৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ৫:৪৬ পি.এম
দিঘলিয়ায় জলাবদ্ধতার কারণে ২০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ ব্যাহত

ওয়াহিদ মুরাদ,খুলনা ব্যুরো চীফ--দিঘলিয়ায় বিগত প্রবল এবং দীর্ঘমেয়াদী বর্ষণে জলাবদ্ধতার কারণে উপজেলা পরিষদের একেবারে সন্নিকটে বিগত আমন মৌসুমে ধান চাষ ব্যাহত হয়েছে। যে এলাকাটি এখনো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে দিঘলিয়া উপজেলায় ১০০ থেকে ১৩০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের পশ্চিম পাশের মাঠে প্রতি বছর আমন ও বোরো ধানের চাষ করেন এলাকার কৃষকেরা। কৃষকদের উৎপাদনের কথা চিন্তা করে বিএডিসি এ সকল কৃষকদের সেচ প্রকল্পের আওতায় এনে ডিপ টিউবওয়েল বসিয়েছে। এরফলে এখানকার কৃষকরা প্রচন্ড খরা মৌসুমেও ধান চাষে পানি সংকটে পড়বেনা। কিন্তু এ বছর আগষ্ট-সেপ্টেম্বর মাসের মাঝারী থেকে ভারী বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্থায়ী জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে উপজেলা পরিষদের পশ্চিম পাশে ২০ থেকে ২৫ হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে কৃষকরা উক্ত জমিতে আমন ধানের মৌসুমে ধান চাষ করতে ব্যর্থ হন। যে কারণে এ সকল জমির মালিকগণ ১০০ থেকে ১৫০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়া উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ কামরুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, এলাকায় কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পর দিঘলিয়া উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত এ ২০/২৫ হেক্টর জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য আমরা বিএডিসি ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু কেউ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ফলে উক্ত জমির মালিকগণ বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। যেহেতু এখনো উক্ত জমি গুলি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে তাই উক্ত জমির পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হলে আগামী বছরেও একই ক্ষতির সন্মুখিন হবেন কৃষকরা বলে মনে করেন এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী কৃষক শাহজাহান, আছাদুজ্জামান, রাসেল, ইশা ও মুরাদ এ প্রতিবেদককে জানান, " আমাদের জমিতে ইতিপূর্বে বর্ষা মৌসুমে পানি হলেও পূর্ব দিকের ড্রেন ও দক্ষিণ দিকের ড্রেন দিয়ে পানি বের হয়ে যেত। বর্তমানে বালি ভরাটের কারণে ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেন নি। বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কাজ হয়নি। তারা জানিয়েছে পানি নিষ্কাশনের জন্য যে অর্থ ব্যয় হবে সে অর্থ তাদের নাই। স্থানীয় কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ পানি নিষ্কাশনের জন্য বিএডিসি ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সমাধান দিতে পারেনি। ফলে আমরা আমন মৌসুমে যে ক্ষতির সন্মুখিন হলাম তার খেসারত দেবে কে?"এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ কিশোর আহমেদ এর সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, "তাদের পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য উপজেলা প্রশাসন, কৃষি অধিদপ্তর ও বিএডিসি কর্মকর্তাদের অবগত করেও পানি সরানোর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছি। উক্ত জমির পানি সরার জন্য ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে যে ড্রেন ছিল সে জমিতে বালু ভরাট করার কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এখনও জমিতে পানি জমা হয়ে আছে। এ জমিতে ধানের চাষ ঠিক রাখতে হলে এ জমির পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধান করতে হবে।"এক সূত্র থেকে জানা গেছে এ বছরের আমন ধানের মৌসুমে প্রবল বর্ষণের কারণে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি, বারাকপুর, আড়ংঘাটা, যোগীপোল, গাজীরহাট ও সেনহাটি ইউনিয়নের বেশ কিছু জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় আমন ধান চাষ করা সম্ভব হয়নি। ফলে আমন মৌসুমে উৎপাদন ব্যহত হয়েছে।
প্রকাশক:ডিএম মাইনউদ্দিন আহাম্মেদ,সম্পাদক: এডভোকেট সেলিনা সুলতানা শিউলি বার্তা সম্পাদক: মোঃ সালাহ্ উদ্দিন মোল্লা