আবু হেনা সাগর ঈদগাঁও প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ। রেলক্রসিংয়ে সতর্ক সংকেত না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে পারা পার হচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। কক্সবাজারে স্বপ্নের ট্রেন আসা যাওয়া করছে। দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত রেলসড়ক এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। রেলপথ পারাপারে আতঙ্কে দিনপার করছেন শিশু-কিশোরসহ বয়োবৃদ্ধ নারী-পুরুষরা। এই ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরী বলেও মত প্রকাশ করেন সচেতন লোকজন। জানা যায়, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা আওতাধীন বিভিন্ন পয়েন্টে লোকজন পারা পারের জায়গাও রয়েছে। এপার ওপার রেল পথ পার হয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করে থাকেন। তেমনি ভাবে ব্যবসায়ী-চাকরিজীবীসহ কর্মজীবিরাও বাজারমুখী বা কর্মের সন্ধানে ছুটে যাচ্ছেন। কিছু স্থানে ব্যারিকেড থাকলেও সতর্ক সংকেত না থাকার পাশাপাশি রেল আসার খবরে পতাকা উত্তোলন বা সিগনালের মত কোন কিছু নেই। ৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেল তিন টায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী এক ট্রেনের ধাক্কায় রামুর রশিদনগরের উত্তর কাহাতিয়া পাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী ওয়াহেদ ও মোহাম্মদ হোসেন ঘটনাস্থলে নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুইজনই ঈদগাঁও বাজার থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিল।মাছুয়াখালী এলাকায় হঠাৎ করে রেললাইনে উঠে পড়ায় কক্সবাজারগামী ট্রেনটির সামনে পড়ে যায় এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাছুয়াখালী রেল ক্রসিংয়ে রেলগেট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়াচম্যান নেই। ফলে স্থানীয় জনগণ প্রতিনিয়ত ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। জসিম নামে একজন জানান, ট্রেনটি ক্রসিং অতিক্রম করার সময় কোন সতর্ক সংকেত বা বেল বাজানো হয়নি। এই কারণে তারা অসচেতন অবস্থায় রেললাইন পার হচ্ছিল। রত্নগর্ভা রিজিয়া আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু বক্কর জানান, গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক মাছুয়াখালীর রেল ক্রসিং নেই কোন ব্যারিকেট ও গার্ডম্যান। সতর্ক সংকেত না থাকায় প্রতিনিয়ত রেল ক্রসিং পারাপারে চরম আতঙ্কে থাকেন স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকার নানান শ্রেণী পেশার মানুষ।বয়োবৃদ্ধ আহমদ হোসেন জানান, সকলের জন্য রেলক্রসিং খুবই ঝুঁকি। হঠাৎ ট্রেনের হুইসেল শুনলে দিকবিদিক ছুটাছুটি করে দৌড় দেয়। এতে যেকোন মুহূর্তেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মনিরুজ্জামান মনির নামের যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, মাছুয়াখালীর সড়কটি প্রাচীন ও ব্যস্ততম। সড়কের রশিদ নগরের তিনটি ওয়ার্ড আর ঈদগাঁওর একটি ওয়ার্ড যুক্ত হয়। কিন্তু ব্যস্ত সড়কে রেলক্রসিং হওয়ার পরেও কতৃপক্ষ গেইট ও গার্ড নিয়োগ করেননি। স্থানীয় লোকজনরা আতঙ্কিত। যার ফলে দূঘটনার সৃষ্টি। ক্রসিংয়ে গেইটে দাবীতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়। সংবাদকর্মী মোজাম্মেল হক জানান,ঈদগাঁও ইসলামাবাদ পাহাশিয়াখালী সড়কটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অসংখ্য যানবাহন ও মানুষের চলা চল প্রতিনিয়ত। নতুন রেল স্টেশন পার্শ্ববর্তী এপার ওপার পার হওয়ার রেলক্রসিংয়ে নেই ব্যারিকেট ও গার্ড। সাইনবোর্ডে লিখা রয়েছে গার্ড ছাড়া সাবধান। সচেতন মহলের মতে, ঝুঁকিপূর্ণ স্পটে গার্ড দিয়ে জনসচেতনতা ও সতর্কতা বৃদ্ধি করে আতঙ্ক দুর করার সু-ব্যবস্থা করা হোক।