মোঃ জাহেদুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট: ইতোমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বইছে শীতের হিমেল হাওয়া। লালমনিরহাট জেলায় শীতল আবহাওয়া গায়ে কম্বল বা লেফ জড়াতে বাধ্য করছে। সেই সাথে বাড়ছে শীতের গরম কাপড়ের চাহিদা। লালমনিরহাটে শীত বাড়ার সাথে,সাথে শপিংমলের পাশাপাশি অস্থায়ী ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে শীতের পোশাকের বিক্রি। শীতপোষাক কিনতে স্বল্প আয়ের মানুষেরা ভিড় করছেন জেলার বিডি আর গেট, কেন্দ্রীয় মসজিদ মার্কেট, রেল স্টেশন এবং বিভিন্ন হাট বাজার গুলতে। ফুটপাতে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা ভালোই চলছে বিকাল থেকে রাত অবধি বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমজমাট হয়ে উঠেছে জেলার ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষেরাও শীতবস্ত্র কিনতে ফুটপাতের দোকানে ভিড় করছেন। শীতের জ্যাকেট, চাদর, গেঞ্জি, হুডি, মাফলার, হাতমোজা, কান-টুপিসহ সবধরনের শীতবস্ত্রই মিলছে এসব দোকানে। অনেক দোকানে আবার শুধুই শিশুদের শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। বিডিআর গেট এলাকায় ফুটপাতে শীতবস্ত্র বিক্রি করেন মাসুদ দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের সাংবাদ কর্মীকে তিনি বলেন, ফুটপাতে কাপড় বিক্রি করেই সংসার চালাই।এই বিক্রেতা আরও বলেন, এ বছর নতুন করে যেসব কাপড় আসবে সেগুলোর দাম আগের তুলনায় একটু বেশি। আগামি শীতের কিছু কাপড় ছিল,এখন ওই সব ১০০ টাকা করে বিক্রি করছি। নতুন কাপড়ের দাম আরেকটু বেশি হবে। গতবারের তুলনায় এবার এক লটে দু'আড়াই হাজার টাকা বেশি দিয়ে কাপড় কিনতে হয়েছে। বিভিন্ন ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, মেয়েদের সোয়েটার ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকা, ছোটদের বিভিন্ন পোশাক ৭০ থেকে ৪৫০ টাকা, মাফলার ৪০ থেকে ২০০ টাকা এবং গরম টুপি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সাইজের কম্বল ৩০০-৮০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ফুটপাত থেকে নিজের জন্য সোয়েটার কিনতে আসা লিটন নামে একজন রিকশাচালক বলেন, দিনে শীত না পড়লেও রাতে এখন অনেক শীত, রিকশা চালাতে ঠান্ডা লাগে। তাই একটা সোয়েটার কিনতে এসেছি। কিন্তু দাম চাইছে তিনশ’ টাকা। দুইশ’ টাকা বলছি, কিন্তু দোকানদার কোনো ভাবেই দিচ্ছে না। ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে আসা গৃহিণী রহিমা বেগম বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ভোরে শীতের বাড়ছে। তাই শীতের পোশাক কিনছি বাচ্চাদের জন্য। তবে কাপড়ের মান অনুযায়ী দাম কিছুটা বেশি। রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে বেশি শীত অনুভূত হয় বাংলাদেশে। ডিসেম্বরের শেষে শীত আরও বাড়তে পারে। যত দিন গড়াবে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমবে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে শীত বেশি হতে পারে।