মো. ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য জেলার বান্দরবানের ৭টি উপজেলা দুইটি পৌরসভা অর্থনৈতিক শুমারির বিভিন্ন প্রশিক্ষন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপ-পরিচালক জেলা পরিসংখ্যান অফিসার মো. শাহাজাহান। অর্থনৈতিক শুমারিতে তথ্য দিন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশ নিন" এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় বান্দরবানে অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪ এর মূল শুমারির তথ্য সংগ্রহকারী এবং সুপারভাইজারগণের ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বিভিন্ন প্রশিক্ষন কেন্দ্র ৪ দিনব্যাপী এ কার্যক্রমের সমাপনীতে উপস্থিত থেকে তথ্যসংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারগণদের দিক নির্দেশনামুলক ভিডিও কনফারেন্স বক্তব্য প্রদান করেন জেলা পরিসংখ্যান, উপ-পরিচালক মো. শাহাজাহান৷ এছাড়াও তিনি উপজেলায় অন্যান্য প্রশিক্ষন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন৷ এসময় পরিদর্শন সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন, বান্দরবান জেলা শুমারি সমন্বয়কারী -২ রিমন রুদ্রের বেলায়, লামা উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ও সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার'গণ, আজিজনগর-ফাইতং জোনাল অফিসার প্রশিক্ষক মো. শাহজালাল, আইটি মোহাম্মদ ইলিয়াস, সুপারভাইজার মো. ইসমাইলুল করিম, কফিল উদ্দিন,মো. শামীম,সুমন, রবিউল'সহ ৭টি উপজেলা দুই পৌরসভা, ইউনিয়নে্,ওয়ার্ডের সকল তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারগণ সহ প্রমূখ। জেলা পরিসংখ্যান উপ-পরিচালক মো. শাহাজাহান জানান, আমাদের দেশের অর্থনীতি ক্রমশই কৃষি নির্ভর হতে পরিবর্তিত হয়ে শিল্প ও সেবা নির্ভর হয়ে উঠছে। বর্তমানে এসব খাতগুলো জাতীয় আয় ও কর্মসংস্থানে অবদান রাখছে ব্যাপকভাবে। এমতবস্থায় প্রয়োজন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে খাতসমূহের হালনাগাদ তথ্য- উপাত্ত সংগ্রহ করা। আর এই তথ্য উপাত্ত সংগ্রহে অর্থনৈতিক শুমারির গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থনৈতিক শুমারি আমাদের দেশের জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়নে ভূমিকা রাখবে অধিকতর। উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ও সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, দেশের চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি বিবিএস ২০২৪ সালে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করছে। তথ্য প্রযুক্তির আধুনিকায়নের যুগে সঠিকভাবে শুমারির মান নিয়ন্ত্রণ এবং সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে শুমারি অনুষ্ঠানের জন্য জিও কোড তালিকা হালনাগাদকরণ, গণনা এলাকার ম্যাপ প্রণয়ন এবং জোন গঠন করা একান্ত অপরিহার্য। উল্লিখিত কার্যাবলি সম্পাদনের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে জোনাল অপারেশন অনুষ্ঠিত হবে। বিবিএস এর সদর দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ এ কাজে সম্পৃক্ত থাকবেন। জোনাল অফিসার মো. শাহজালাল জানান, ৪ দিনব্যাপী শুমারির তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলছে ৷ প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে মূল শুমারির কাজ শুরু হবে এবং ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরো দেশের সাথে একযোগে অর্থনৈতিক শুমারি কার্যক্রম শেষ হবে ৷তবে বিজয় দিবস ও বড়দিনের জন্য দুই দিন ব্যতিত এই ১৫ দিন শুমারির কর্মীগণ তথ্য সংগ্রহ করবে।