তপু রায়হান রাব্বি ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের তারাকান্দার বালিখাঁ ইউনিয়ান সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শামসুল ইসলাম(রাজু) একই ইউনিয়ানের মেম্বারদের সাথে গোপনে বৈঠকালে সেনাবাহিনী কর্তৃক ৮ জন মেম্বার আটক হয়। তার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উক্ত বৈঠকে জড়িত না থাকা ৩ জনকে ছেড়ে দিয়ে ৫ জনকে থানায় হস্তান্তর করেন। আটকৃতরা হলেন, ১। মোঃ নজরুল ইসলাম(৫২) পিতাঃ মোঃ তোহির উদ্দিন সাং পাগুলী পশ্চিম ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার, বালিখা ইউনিয়ন ২। মোঃ হামিদুল ইসলাম(৪০) পিতাঃ মোঃ অহেদ আলী সাং ডাকিরকান্দা ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার ৩।মোঃ শফিকুল ইসলাম(৩৮)পিতাঃ মৃত শরিফ উদ্দিন সাং মাসকান্দা ১নং ওয়ার্ড মেম্বার ৪। মোঃ ফয়সাল আহমেদ(৩৮) পিতাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম সাং বালীখা ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার ৫। মোঃ নুরুল আমিন সরকার(৫৫) পিতাঃ মৃত সাদির উদ্দিন সরকার সাং পূর্ব পাগুলী ২নং ওয়ার্ড মেম্বার। ৬। মোঃ রায়হান(৩৯) পিতাঃ মৃত হযরত আলী মন্ডল সাং দাখিলকান্দা মধ্য ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার ৭। মোঃ হেলাল উদ্দিন (৪১)পিতাঃ মৃত আকবর আলী সং বাবুনী কোনা ধাকুনী কোনা ইউনিয়ন সচিব, ৮।মোঃ আব্দুল হালিম(৫৫) পিতাঃ মৃত আব্দুল জব্বার সাং পশ্চিম ঢাকিরকান্দা ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার। জানা যায়, অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আব্দুল্লাহ মোঃ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত চেয়ারম্যান গত ৫ আগস্ট হতে পলাতক ছিলেন। তার নামে নাশকতা এবং পলিটিক্যাল মামলা আছে। তিনি ১০ নভেম্বর রোজ রবিবার দুপুরে বালিখাঁ ইউনিয়ন মেম্বার ও সচিবসহ তার পূর্ব পাগুলী নিজ বাড়ীতে ডেকে গোপনে মিটিং করছিরেন।এমন অবস্থায় সেনাবাহিনীর একটির টিম তাদের আটক করেন। এ সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শামসুল ইসলাম(রাজু) পালিয়ে যায়। আটকৃত মেম্বারদের কে তারাকান্দা ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। পরে চন্দন সরকার সাব-ইন্সপেক্টর তারাকান্দা থানা আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সচিব মোঃ হেলাল উদ্দিন, মেম্বার মোঃ রায়হান ও মোঃ আব্দুল হালিম উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত না থাকাই ছেড়ে দিয়ে বলেন যে কোন সময় আপনাদেরকে ডাকা হতে পারে। তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ টিপু সুলতান জানান, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হবে।