বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরের চৌরাপাড়া এলাকায় সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর মালিকানাধিন পরিত্যক্ত সূরুচি ভ্যাজিটেবল অয়েল মিলে এখনো লুটপাট চলছে। মূল্যবান যন্ত্রপাতি লুটের পর এখন খুলে নেওয়া হচ্ছে মিলেরই পাটকেল। বিএনপির নামধারী নেতাদের সহায়তায় একটি প্রতারক চক্র লুটপাটের সঙ্গে জড়িত বলে এলাকাবাসী জানান। এ ব্যাপারে সুরুচি ভেজিটেবল রয়েল মিলের সাবেক কেয়ারটেকার জাবেদ হোসেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বন্দর থানায়লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সম্প্রতি লুটের মালামালসহ একটি ট্রাক আটক করেছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর রাতে ব্যাপক লুটপাট শুরু হয়। এ দিন রাতভর মিলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে মালিক পক্ষের লোক পরিচয়ে মিলের পুরনো মেশিন পত্র, যন্ত্রপাতি, তেল সংরক্ষণের বিশালাকৃতির ট্রাংক, টিনের ছাউনী, ইট, কাঠ, দরজা -জানালা খুলে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। চক্রটি সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর নাসিমের নাম ব্যবহার করে লুটপাট চালাচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান। ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মিলের প্রায় শত কোটি টাকার মালামাল লোপাট হয়েছে বলে সূত্র জানায়। এ ব্যাপারে সূরুচি ভ্যাজিটেবল ওয়েল মিলের কেয়ারটেকার পরিচয়দানকী আসাদ জানান, মালিক পক্ষের অনুমতি নিয়ে মেজর নাসিম ও ম্যানেজার রহমতের নেতৃত্বে পুরনো মাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মালিক পক্ষের কোনো অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি অনুমতির পক্ষের কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি। সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর নাসিম মোবাইল ফোনে জানান, আমির হোসেন আমুসহ সূরুচি ভ্যাজিটেবল ওয়েল মিলের ৪ জন পরিচালক রয়েছেন। এদের মধ্যে শেখ সজিব ও শেখ মুস্তাফিজ সম্পর্কে আমির হোসেন আমুর শ্যালক। তারা দু’জন পুরনো যন্ত্রাংশ ও মালামাল বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন। তাদেও অনুমতি নিয়েই পুরনো মেশিন পত্র ও স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া আগের কেয়ারটেকার জাবেদ ৫ আগস্টের পর মিলের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল সরিয়ে ফেলেছেন বলে জানান মেজর নাসিম সাবেক কেয়ারটেকার জাবেদ জানান, আমির হোসেন আমু বন্দরের চৌরাপাড়া এলাকায় বিআইডবিøউটিসির কাছ থেকে ১০ একর জায়গা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়ে ১৯৯১ সালে সুরুচি ভ্যাজিটেবল অয়েল মিল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই একক ভাবে মিলের মালিক। যারা মেশিনপত্র খুলে নিচ্ছে তারা মিলের কেউ নন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বন্দর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা বন্দর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মেরাজ জানান, এরা একটি প্রতারক চক্র । সেনাবাহিনীর নাম ব্যবহার করে লুটপাট চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, লুটপাটের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মালামাল সহ একটি ট্রাক আটক করা হয়েছে।
বন্দরে আকবর খান ডকইয়ার্ডে চুরি আটক-১ বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে আকবর খান ডকইয়ার্ডে চুরি করে পালানোর সময় উজ্জল (৩০) নামে এক চোরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে ডকইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ। আটককৃত চোর উজ্জল বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের মাহমুদনগর এলাকার কালাম মিয়ার ছেলে। এ ব্যাপারে উল্লেখিত ডকইয়ার্ড মালিক আতিকুর রহমান খান বাদী হয়ে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে আটককৃত চোরের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৭(১২)২৪ ধারা- ৪৫৭/৪৬২/৩৮০ দ: বি:। আটককৃত চোর উজ্জলকে উল্লেখিত চুরি মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মহনপুরস্থ উল্লেখিত আকবর খান ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ চুরি ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা চিলমারি থানার বেলের ভিট এলাকার আকবর খান মিয়ার ছেলে আতিকুর রহমান খান দীর্ঘ দিন ধরে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মহনপুর এলাকায় ডকইয়ার্ড ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। গত ২৮ নভেম্বর রাতে অজ্ঞাত চোরের দল উল্লেখিত ডকইয়ার্ডে প্রবেশ করে কারেন্টের খুঁটিতে থাকা ৩টি ৩৫ কিলো ওয়াটের ট্রান্সর্ফমা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও গত ৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাত নামা চোরের দল আবারও ডকইয়ার্ডের ষ্টোর রুমের তালা ভেঙ্গে ভিতর প্রবেশ করে ২৫ পিছ হাইড্রলিক পাম্প, ২০ কেঁজী তামা,পাইপ ফিটিং এর ১ বস্তা মালামাল চুরি করে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। এর ধারাবাহিকতা গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় চোরের দল পুনরায় ডকইয়ার্ডে প্রবেশ করে ষ্টোর রুমে থেকে ১টি ৪৮ ভোল্টের ব্যাটারী চার্জার চুরি পালানোর সময় ডকইয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত নাইটগার্ডরা উজ্জল নামে এক চোরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।