মোঃ কামাল হোসেন, যশোর জেলা প্রতিনিধি:যশােরের চৌগাছায় আলােচিত গৃহবধু রাবেয়া বেগম হত্যা মামলার ১নং আসামি তামিম হােসেনকে জনতা পাকড়াও করে গণধােলাই এর পরে পুলিশ সােপর্দ করেছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে চৌগাছা বাজার হতে জনতা পাকড়াও করে। এরপর উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে আসেন। এ রিপাের্ট লেখা পর্যন্ত সে থানা পুলিশের হেফাজতে আছে বলে জানা গেছে। একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, উপজেলার বাঘারদাড়ি গ্রামে নির্মম হত্যার শিকার হন গৃহবধু রাবেয়া বেগম। গত ১০ ডিসেম্বর প্রতিবেশির (তামিম) টিউবওয়েলের পানি রাখা গর্ত হতে তার লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। ওই দিন বিকালে নিহতের স্বামী রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। যার ১নং আসামি হয় প্রতিবেশি তাজুল ইসলামের বকাটে ছেলে তামিম হােসেন। মামলা হওয়ার পর তিন দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আসামিকে আটক করতে পারেনি। এ নিয়ে নিহতের স্বজনদের মাঝে ক্ষােভের সৃষ্টি হয়। থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে হত্যা মামলার ১নং আসামি তামিম হােসেন চৌগাছার বড় মসজিদ সবজি বাজারে ঘুরা ফেরা করছিল। এ সময় বাঘারদাড়ি গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তি তাকে দেখতে পেয়ে স্বজনহারা পরিবারকে খবর দেয়। তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁচ্ছে তামিমকে পাকড়াও করে। এ সময় হত্যা মামলার আসামি জনতার হাতে আটক এমন খবরে সেখানে ভিড় জমে। একপর্যায়ে জনতা তাকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। থানা পুলিশ জনতার হাত থেকে আসামি তামিমকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে আসেন। থানার অফিসার ইনচার্জ পায়েল হােসেন আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত হতে আসামিকে আটকে পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেন। সে একাধিকবার স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। শুক্রবার দুপুরে গােপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটকে কাঁচাবাজার চলে অভিযান একপর্যায়ে তাকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়।