মোহাম্মদ জুবাইর, চকরিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপিসহ ৭৩৬ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পৃথক এই মামলায় এজাহানামীয় আসামি করা হয়েছে যথাক্রমে ১৫৬ ও ১৮০ জনকে। এসব আসামি আওয়ামী লীগের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।প্রসংগ, ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণাকালে প্রতিপক্ষের মারধরে আহত তৎকালীন পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দারকে হাসপাতালে দেখতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদের সহধর্মিণী সংসদ সদস্য প্রার্থী হাসিনা আহমেদ। ওই সময় প্রতিপক্ষরা ঘেরাও করে হামলা, লুটপাট ও হত্যাচেষ্টা চালায়। ওই ঘটনায় শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে চকরিয়া পৌর এলাকার কাজীর পাড়ার আবুল ফজলের ছেলে নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছাসহ বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮০ জনকে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে অভিযুক্ত দেখানো হয়েছে। অপরদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপিসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে মামলাটি রুজু করেন লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন। ওসি মো. মনজুর কাদের ভুঁইয়া জানান, অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছ। এই নিয়ে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফরের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করা হয়।