মোহাম্মদ জুবাইর, চকরিয়া প্রতিনিধি: চকরিয়া দরবেশ কাটার মেহেন্নি পাড়ায় সন্ত্রাসী মোহাম্মদ মিন্টু (৪২), সাইফুল ইসলাম (৩৫), আকিদুল হক আকিদ (৩৫) ও রবিউল্লাহ (৩৫) এর হামলায় ৪ নারীসহ মোট ৫ জন গুরুতরভাবে আহত হয়। সন্ত্রাসী আকিদুল হক আকিদ ৩ মাসের অন্তসত্ত্বা রুজিনা আক্তারকে লাথি মেরে ভ্রুণ নষ্ট করে এবং লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। সন্ত্রাসী মোহাম্মদ মিন্টু ও সাইফুল ইসলাম ভুক্তভোগী ইয়াসমিন কাউছার মুন্নিকে এলোপাতাড়ি মারধর করে বাম হাতের হাড় ভেঙ্গে ফেলে এবং ডান হাতে উপর্যুপরি আঘাতসহ সর্বশরীরে আঘাত করে মারাত্মকভাবে জখম করে। সন্ত্রাসী সাইফুল ইসলাম ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম কে মারাত্মকভাবে আঘাত করে একটি দাঁত ফেলে দেয় এবং দুটি দাঁত ভেঙ্গে ফেলে। আসামী রবিউল্লাহ ও সাইফুল ইসলাম ভুক্তভোগী জোবাইদা বেগম ও মোশারফা কে হাত পা সহ সর্বশরীরে আঘাত করে জখম করে। এ বিষয়ে বিগত ২৯/১২/২০২৪ ইং তারিখ ভুক্তভোগী ইয়াসমিন কাউছার মুন্নি বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চকরিয়ায় সি.এর মামলা নং- ৩০৪৭/২০২৪ দাখিল করেন। আদালত চকরিয়া থানায় এজাহার গ্রহণের আদেশ প্রদান করেন। আদলতের আদেশ অনুসারে চকরিয়া থানায় বিগত ০১/০১/২০২৫ ইং তারিখ ০১/০১ নং মামলা গৃহীত হয়। কিন্তু আসামীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘোরাফেরা করলেও অদ্যাবধি কেউ গ্রেফতার হননি। অভিযোগকারী ইয়াসমিন কাউছার মুন্নি অভিযোগ করেন, "আসামীদের গ্রেফতার না করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম রাজা আমাকে ও সাক্ষীদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি প্রদর্শন করছেন। পুলিশ চাইলে অনেক কিছু করতে পারেন। থানায় মামলা না করে কোর্টে মামলা করেছেন কেন?" এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকরিয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো: শফিকুল ইসলাম রাজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, " আমি বিবাদী ও সাক্ষীগণকে থানায় মামলা রুজু না করে কোর্টে কেন মামলা রুজু করেছেন তা জানতে চেয়েছি।" এছাড়া অভিযোগকারী কর্তৃক তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মঞ্জুর কাদের ভুইয়া এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোকারীকে তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি আসামীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করবেন এবং তদন্ত কর্মকর্তার কোন পক্ষপাতমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে আশ্বস্ত করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উল্লেখিত সন্ত্রসীরা দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেনের খরিদা জমি জোরপূর্বক দখল করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। সন্ত্রাসীরা বিগত ২২/১২/২০২৪ ইং তারিখ মাওলানা আনোয়ার হোসেনের খরিদা নামজারী জমাভাগ খতিয়ান ২০৩৫ খতিয়ানের বিএস ১৯৭ দাগের উপর স্থিত জমি দখলে নেয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন আর্মি ক্যাম্প, চকরিয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চকরিয়া এবং চকরিয়া থানা বরাবর প্রতিকার প্রাপ্তির নিমিত্তে অভিযোগ দাখিল করলে সন্ত্রাসীরা মাওলানা আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকী প্রদর্শন করে এবং বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করবে মর্মে হুমকী প্রদর্শন করে। বিগত ২৪/১২/২০২৪ ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ৩:০০ টায় সন্ত্রাসীরা মারাত্মক অবৈধ অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আনোয়ার হোসেনের ক্রয়কৃত জমির মাটি কাটতে থাকে। আনোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী ইয়াসমিন কাউছার মুন্নি, আনোয়ার হোসেনের ভাগ্নি রুজিনা আক্তার, আনোয়ার হোসেনের ভাতিজি জোবাইদা বেগম, আনোয়ার হোসেনের ভাগিনা নুরুল ইসলাম সন্ত্রাসীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে আক্রমণ করে প্রচন্ডভাবে মারধর করে জখম করে।