ওয়াহিদ মুরাদ, খুলনা ব্যুরো চীফ--অবৈধভাবে উৎপাদিত নিম্নমানের ঔষুধে বাজার সয়লাভ। খুলনার দিঘলিয়ায় ঔষুধের দোকানে বা পল্লী চিকিৎসকদের দোকানে নানা গ্রুপের নানা কোয়ালিটি সম্পন্ন নানা ঔষুধের ছড়াছড়ি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঔষুধের দোকানে ঔষুধের নামে চলছে রুগীর সাথে প্রতারণা। একই গ্রুপের ঔষুধের নানা কোয়ালিটি ও নানা মূল্য। এগুলির কার্যকারিতাও ভিন্ন ভিন্ন। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, নানা এন্টিবায়োটিক ও গ্যাসের ট্যাবলেটের যেমন রয়েছে মূল্যভেদ, তেমনি সে সকল ঔষুধ বাজারে বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। বাজারে একই রোগের নিম্নমানের, মাঝারি ও প্রকৃত কোয়ালিটির ট্যাবলেট বাজারে বিক্রয় করা হয়ে থাকে। গরীব রোগীর জন্য অল্প দামী, মধ্যবিত্ত রোগীদের জন্য মাঝারী কোয়ালিটির ট্যাবলেট মাঝারী মূল্যে এবং বিত্তশালী রোগীদের হাই কোয়ালিটির ঔষুধ বিক্রয় হয়ে থাকে। সূত্র আরো জানায়, প্রভাবশালী ঔষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলি বাজার তাদের হাতে রাখার জন্য এ অনৈতিক পলিসি বাস্তবায়ন করে থাকে। যে সকল সরকারী হাসপাতালে টেন্ডারের মাধ্যমে হাসপাতালে ঠিকাদার নিয়োগ ও সারা বছর হাসপাতালে ঠিকাদারের মাধ্যমে ঔষধ সরবরাহ করা হয় সে ঔষধগুলোরও গুনগত মান পরীক্ষার দাবী সর্বমহলের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোগী এ প্রতিবেদককে জানান, একই রোগের জন্য একই গ্রুপের ঔষধ হাসপাতাল থেকে নিয়ে কার্যকর কম হয়েছে। সে তুলনায় বাইরের ঔষধের কার্যকারিতা ভালো পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহবুবুল আলম এর সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, এ সমস্যাগুলো আগে হতো। ঠিকাদারগণ তাদের পছন্দের ঔষধ কোম্পানীর ঔষুধ সরবরাহ করতে পারতেন। এখন আর এ সুযোগ নেই। সরকারের নির্ধারিত ঔষধ কোম্পানীর ঔষধ সরবরাহ করতে হয় ঠিকদারদের। ফলে গুণগত মান ক্ষুন্ন করার বর্তমানে কোন সুযোগ নেই। বাজারে নিম্নমানের ঔষুধ বিক্রির বিষয়টা স্বীকার করে তিনি বলেন, সরকারী অনুমোদন ও লাইসেন্স এর বাইরে অবৈধভাবে নানা ভেজাল সামগ্রী ব্যবহারে নানা গ্রুপের নিম্নমানের ঔষুধ বাজারজাত করণ ও দোকানে দোকানে সাপ্লাই ও বিক্রি হচ্ছে বলে আমি শুনতে পাই। নিম্নমূল্যে এ সকল ঔষুধ কিনে রোগীসহ তাদের স্বজনরা প্রতারিত হচ্ছে। এগুলো ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন অভিযানের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।