মো. ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মরা যাওয়া গর্ভবর্তী মা হাতি।ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারীর বিচাইন্নারছড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মরা যাওয়া গর্ভবর্তী মা হাতি। হাতির আক্রমণে ফরিদুল আলম ওরফে পুতু মিয়া নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আর তাঁর দেওয়া তামাকখেতের বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে আক্রমণকারী হাতির সঙ্গী এক মা হাতির। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া বন্য হাতিটি গর্ভবতী ছিল। বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লামা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা এ কে এম আতা এলাহী। ফাঁসিয়াখালীর রাস্তার মাথা দিয়ে উচিতারবিল এলাকার পাশের পাহাড়ি গ্রাম কুমারীর বিচাইন্নারছড়া। মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২টায় দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিচাইন্নারছড়া এলাকার পাহাড়ের ঢালুতে বেশির ভাগই তামাকখেত। যে তামাকখেতে হাতির মৃত্যু হয়েছে, তার মালিক ফরিদুল আলম। গতকাল রাতেই মৃত হাতির সঙ্গী পুরুষ হাতির আক্রমণে মারা যান তিনিও। নিহত ফরিদুলের তামাকখেতের পাশে একটি ডোবার পাড়ে একটি বৈদ্যুতিক ফাঁদ বসানো হয়েছে। সেই ফাঁদের পাশে হাতির মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বন বিভাগের সহযোগী এলিফ্যান্ট রেসকিউ টিমের (ইআরটি) সদস্যরা বন্য হাতিটি পাহারা দিচ্ছিলেন। স্থানীয় লোকজন বলেন, তামাক ও লাউয়ের খেত রক্ষা করতে স্থানীয় লোকজন যত্রতত্র বৈদ্যুতিক ফাঁদ ব্যবহার করছেন। বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে বন্য হাতিটি মারা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বলেন, হাতির মৃত্যুর খবর শুনে তামাকখেত ও লাউখেতের মালিক ফরিদুল আলম ওরফে পুতু মিয়া ঘটনাস্থলে আসছিলেন। এ সময় মারা যাওয়া বন্য হাতিটির সঙ্গী পুরুষ হাতিটি তাকে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। হাতির মৃত্যুর স্থান থেকে ফরিদুল আলমের খামারবাড়ির দূরত্ব মাত্র ৩০মিটার। বন বিভাগের লামা রেঞ্জ কর্মকর্তা এ কে এম আতা এলাহী বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে বৈদ্যুতিক ফাঁদের তার পাওয়া গেছে। সেগুলো বন বিভাগের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কে এম আতা এলাহী বলেন, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জনকে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ময়নাতদন্ত শুরু হবে বলে জানান তিনি।