মোঃ জাহেদুল ইসলাম রতন লালমনিরহাট: চালের বাজারে আবারও সিন্ডিকেটের দাপট বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দামেও। তবে স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) লালমনিরহাট সদরে বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। সপ্তাহের ব্যবধানে সব জাতের চাল দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মিনিকে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, আটাশ ৬২ থেকে ৬৫ টাকা,পাইজাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, গুটি সর্ণা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮০টাকায়।। চালের বাজারে উত্তাপ থাকলেও, স্বস্তির পেয়েছে সবজির বাজারে। গ্রীষ্মকালীন কিছু সবজি ঢেরস,চিচিঙ্গা, করলা ছাড়া, শীতকালীন সব ধরণের সবজির কেজি লালমনিরহাটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির মধ্যে আলু কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, বাধাকপি পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিচ ৫-১০ টাকা, মুলা ১০ টাকা, ছোট শিম ২০-২৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৩০-৩৫ টাকা, কাঁচা কলার হালি (৪টি) বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২০-২৫ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, শসা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। গাজর কেজি ৩৫-৪০টাকা, বেগুন ভেদে ১৫-৩০টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়াও কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির পাশাপাশি দাম কমেছে আদা ও রসুনের। দেশি রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, দেশি আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়, মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকায়। মাছের বাজারে যোগান বাড়লেও কমেছে ক্রেতা। নদী ও চাষের মাছের দাম কিছুটা কমলেও, এখনও সীমিত আয়ের মানুষের হাতে নাগালে নেই ইলিশ। এক কেজি ওজনের ইলিশের জন্যে গুনতে হচ্ছে দের থেকে দুই হাজার টাকা।এদিকে স্থিতিশীল আছে গরু আর খাসির মাংসের বাজার। এক কেজি গরুর মাংসের জন্য দিতে হবে সাতশো টাকা। আর খাসির মাংসের স্বাদ নিতে চাইলে দিতে হবে হাজার টাকার বেশি।