মাগুরা জেলা প্রতিনিধি: মাগুরায় এক বউ নিয়ে দুই স্বামী রীতিমত টানাটানি শুরু করেছে। দুই জনই দাবি করছে, তারা বৈধ স্বামী। প্রথম স্বামী স্ত্রীকে ফিরে পেতে মাগুরা সদর থানা ও মাগুরা বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন৷ দ্বিতীয় স্বামী তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে। যার ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন প্রথম স্বামী।শুক্রবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাগুরা সদর উপজেলার ধলহরা গ্রামের আলী আহম্মেদ মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম ৯ বছর আগে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নোহাটা ইউনিয়নের পানিঘাটা গ্রামের ছোলাইমান বিশ্বাসের মেয়ে মুর্শিদা খানম (৩২) অভিভাবকদের উপস্থিতিতে বিয়ে করেন। ৯ বছরের সংসার জীবন তাদের শান্তিতেই চলছিল। গত ২০১৬ সালের ১০ জুলাই পারিবারিকভাবে মুর্শিদা খানমের সাথে শহিদুল ইসলাম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সুখে শান্তিতেই চলছিল তাদের সংসার জীবন। মুর্শিদার সাথে একই গ্রামের মুন্সি জাকির হোসেনের ছেলে মুন্সি মেহেদী হাসান লিপু (৩০) এর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অবৈধ সম্পর্ক অবাধে চালানোর জন্য গত ২০২৪ সালের ৭ জুন একটি কবিননামা তৈরি করে। পরে ফুসলিয়ে মুর্শিদা খানমকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয় লিপু। প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই গত ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই আবারো নড়াইল বিজ্ঞ আদালতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আদালতে মুর্শিদা খানমের বিবাহ নিষিদ্ধ থাকলেও তিনি আদালতের আদেশের তোয়াক্কা না করেই তিনি দ্বিতীয় স্বামী লিপুর বাড়িতে অবস্থান করছে। যা নিয়ে একালায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। শহিদুল ইসলামের দাবি, মুর্শিদা খানমের সাথে আমার সাথে আমার ৯ বছর সংসার হয়েছে। সে বেশির ভাগ সময় বাবার বাড়িতে থাকত। তাকে ডাক্তারি কোর্স, ফার্মেসী করে দেওয়া, বাড়িঘরসহ বিভিন্ন কাজে আমার ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সে আমাকে ডিভোর্স না দিয়েই অন্য ছেলেকে বিয়ে করেছে। এখনো সে আমার স্ত্রী। আমি তাকে স্ত্রী হিসেবে ফিরে পেতে চাই। এ বিষয়ে জানতে মুন্সি মেহেদী হাসান লিপুর গ্রামের বাড়ি পানিঘাটা গিয়ে তাকে পাওয়া যাইনি পরে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করেও তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মুর্শিদা খানমের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তবে তিনি দাবি করেন শহিদুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হইনি। বিয়ে না হলে কেন ডিভোর্স দিলেন এমন প্রশ্নের কোন জবাব তিনি দিতে পারেননি।