মো.ইসমাইলুল করিম স্টাফ রিপোর্টার: পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়ন ফাইতং বাজার হেডম্যান পাড়ার সামনে মুদি দোকানে স্বপ্নে পাওয়া ওষুধ নিতে অনেকে যাচ্ছেন হুজুরের দোকানে। এ'ওষুধ যেকোন রোগের কাজ করে, এমনটাই দাবি করেন মুদি দোকানদার হুজুর মোহাম্মদ হোছেন ও বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন। সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার ফাইতং বাজার হেডম্যান পাড়ার সামনে মুদি দোকানে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। শনিবার নারী-পুরুষের লম্বা লাইন ছিল চোখে পড়ার মত। এ বিষয়ে কথা হলে ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুকের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে মোহাম্মদ হোছেন প্রকাশ কবিরাজ হুজুরকে ডাকি। তার কাছ থেকে জানতে চাই। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে স্বপ্নে এ'ওষুধ সম্পর্কে অবগত হয়। তারপর বিভিন্ন গাছ ও লতাপাতা নিয়ে ওষুধ তৈরি করে মানুষকে দিচ্ছেন। পাশাপাশি পানি পড়াও দেন। কোন টাকা নিচ্ছেন না। তবে ফাইতং বাজার জামে মসজিদ ও তার বাড়ি পেকুয়া এলাকার একটি মসজিদের দুটি দানবাক্স রাখা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন মনের খুশিতে যা ইচ্ছে দান করে যান মসজিদের জন্য। গত এক সপ্তাহে ফাইতং বাজার জামে মসজিদের দানবাক্স ৩৫ হাজার টাকা পড়েছিল। মোহাম্মদ হোছেন একসময় প্রবাসে ছিলেন। তার এক ছেলে চি-কিৎসক। তার নিজ বাড়ি পেকুয়া উপজেলায়। মোহাম্মদ হোছেন প্রকাশ কবিরাজ হুজুর বলেন, স্বপ্নে পাওয়া ওষুধ ও পানিপড়া দিয়ে রোগের চিকিৎসা দিচ্ছি। ভালো হয় বলেই মানুষ আসে। ফাইতং বড় মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা মো. নুরুচ্ছফা হুজুর থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর অনেক দিনের হাঁটুব্যথা ছিল। ওনার চিকিৎসায় ভালো হয়ে গেছে। পাড়ার সর্দার মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমি ওনার চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়েছি। এদিকে ফাইতং বাজারের কয়েকজন বলেন, বাজারে বেলাল নামে এক প্রতিবন্ধী আছে। তাকে এই হুজুর ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করেছে। সে কিন্তু ভালো হয়নি। মোহাম্মদ হোছেন কাছে ছুটছেন হাজার হাজার মানুষ। সাপ্তাহ দুইদিন বিভিন্ন শ্রেণির সাধারণ ও সহজসরল প্রকৃতির মানুষের বিশ্বাস নিয়ে চলছে ওই কারবার।