ঝালকাঠি প্রতিনিধি:-ঝালকাঠির রাজাপুরের দক্ষিণ মনোহরপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী নুরুজ্জামান সিকদার এর এক মাত্র পুত্র সন্তান মোঃ রাতুল ইসলাম তার দুই বছর বয়সী শিশু সন্তান ও এক সন্তানের জননী স্ত্রীকে নিয়ে আপন নানা কর্তৃপক্ষ বার বার অমানুষিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে পৈতৃক গৃহ ছেড়ে মানবিক জীবন যাপন করছে এবাড়ি সে বাড়ি, ঘুড়ছে এবাড়িতেও সেবাড়ি। এবিষয়ে রাতুল বাদী হয়ে ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ অভিযোগ করেছে রাজাপুর "ইউ এন ও'র বরাবরে"। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে যে, রাতুল পাচঁ বছর পূর্বে পরিবারের অভিভাবকদের সম্মতিক্রমে ও উপস্থিতিতে তাইবা আক্তারকে বিবাহ করে। বিবাহের কিছুদিন পর ১ নং বিবাদী নানা মুনসুর আলী হাওলাদার রাতুলের বাবা মা-কে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রাতুলের স্ত্রীকে তালাক দেওয়াইয়ে অনেক বড়ো পরিবারে বিবাহ করানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এই প্রস্তাবে রাতুল রাজি না হওয়ায় তার নানা ও মা বিভিন্ন ভাবে রাতুলের স্ত্রী ও তার পরিবারের নিকট মোটা অংকের যৌতুক দাবি করেন। এতে রাতুলের অজান্তেই শশুরালা থেকে সুকেজ, বক্স খাট, ড্রেসিং টেবিল, বক্স আলনা ও কিছু স্বর্ণালংকার উপহার হিসেবে দিতে বাধ্য হন। কিন্তু এর পরেও ১ নং বিবাদীর প্ররোচনায় রাতুলের মা রাতুলকে বিদেশে পাঠানোর কৌশলে পুনরায় শশুর বাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ সৃস্টি করেন। শশুর বাড়ির আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে টাকা আনতে ব্যার্থ হলে রাতুলের স্ত্রীকে অপনিন্দা, শারীরিক মারধর, বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া ও মধ্যযুগীয় ভাবে বিভিন্ন নির্যাতন করতে শুরু করেন তার মা ও নানা। এক পর্যায়ে ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ সকাল ১০ ঘটিকায় রাতুলের দুই বছরের শিশু কন্যা ও স্ত্রী-কেসহ পিতার প্রবাসরত অবস্থায় এক কাপড়ে গৃহ থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে দেয় নানা মুনসুর আলী ও তার মা সুখি বেগম। পরে রাতুল তার বাবার গৃহে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে ১নং বিবাদী মুনসুর আলী বেপরোয়া আচরণ করে কোন ভাবেই প্রবেশ করতে দেয়নি। বর্তমানে রাতুল তার বস্রবিহীন শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে এই প্রচন্ড শীতের মধ্যে শশুরালয়ে না গিয়ে এবাড়ি সেবাড়ি মানবেতর জীবনযাপন করছে। এবিষয়ে রাতুল জানায় আমি ইউ এন ও স্যারের অফিসে অভিযোগ দিয়েছি, দেখি স্যার কি করেন, আমি প্রয়োজনে রাস্তায় থাকব তারপরও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শশুর বাড়ি যাবোনা। ঘটনার ব্যাপারে জানার জন্য মুনসুর আলীর এই নাম্বারে ০১৭৮৭২৪০৬১৫ ফোন দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। রাতুলের মা সুখি বেগমের এই নাম্বারে ০১৭১৭৩৪১০৮৬ ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করে বলেন আমার ছেলে ও ছেলের বৌ ভালোনা বলে ফোন কেটে দেন।