আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাইপাস মোড়ে যাত্রী ছাউনি থাকলেও নেই কোনো শৌচাগার (পাবলিক টয়লেট)। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাবলিক টয়লেট না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষজন। বিশেষ করে নারীরা। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায় বাইপাস এলাকায় দূর পাল্লার গণপরিবহনের কাউন্টার থাকার কারণে যাত্রীরা পাবলিক টয়লেটের অভাবে ভুগছে প্রতিনিয়ত। চট্রগ্রাম, সিলেট ও ঢাকাগামী গণপরিবহনের কাউন্টার গুলো বাইপাস মোড়ে থাকায় পরিবহনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের টয়লেটের সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন যানবাহনও স্টপেজ হিসাবে এই মোড় ব্যবহার করছে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার লোকজন স্টপেজ হয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে ও আসছে। বাইপাস এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা রহমান জানান, ঝালকাঠি , বরিশাল ও ঢাকার পরিবহনের বাইপাস বাস স্টপেজে গাড়ীর অপেক্ষা করা অবস্থায় যাত্রীদের টয়লেট ব্যবহারের প্রয়োজন হলেও কোন ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। প্রয়োজনে অনায়াসে পাশের বাড়ি-ঘরে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। স্থানীয় সোহেল এর সাথে কথা বলতে গেলে বলেন, বেশি বিপাকে পড়েন নারীরা। অনেকে মুখ ফুটে তার সমস্যার কথা বলতেও পারেন না। পাবলিক টয়লেটের অভাবে যেখানে সেখানে কাজ সারতে হয় সাধারণ পথচারীদের। এবিষয়ে পালকি পরিবহনের অপেক্ষামান যাত্রী মোসাঃ ছালমা বেগম (বাউল ছালমা) জানান আমি এই পথের নিয়মিত যাত্রী, প্রায়ই বিভিন্ন প্রোগ্রামে সকালে ঢাকা গিয়ে বিকেলে চলে আসি কিন্তু অনেক সময় প্রাকৃতিক ডাক আসলেও নিরসন করার পরিবেশ না থাকায় অনেক কষ্ট পেতে হয়! না-জানি আমার মতো কতো নারী এভাবে কষ্ট পায়!!! সেহেতু অবশ্যই রাজাপুর বাইপাস মোড়ে একটি শৌচাগার স্থাপন জরুরী, এছাড়াও শৌচাগার না থাকায় পরিবেশ দূষণসহ নাগরিক দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়রা বলেন, বাইপাসে একটি পাবলিক টয়লেট এখন আমাদের প্রানের দাবি। এ বিষয়ে রাজাপুরের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন যাএী ছাউনী নির্মাতা সংশ্লিষ্টদের কাছে বাথরুম নির্মাণ এর ব্যপারে জানতে চাইলে তাদের বাথরুম করার নিয়ম নেই বলে জানালে আমি নিজস্ব উদ্যোগে জেলা পরিষদের সহায়তায় অতিদ্রুত বাথরুম নির্মাণ এর চেষ্টা করছি।