মোঃ আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ তারুণ্য ও নতুন দিনের দিকে তাকিয়ে আছে'- উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ঢাকা ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং বিজিএমই ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এ্যান্ড টেকনোলজি দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ঢাকার পূর্বাচলে বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ইয়াংওন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মি. কিয়াক সুং (Kihak Sung)। সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশ তারুণ্য ও নতুন দিনের দিকে তাকিয়ে আছে। আজকের সমাবর্তনের গ্রাজুয়েটবৃন্দের এই অর্জন ও সাধনা দেশের সাধারণ মানুষকে উজ্জীবিত করবে, যারা আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। বাংলাদেশ শ্রমজীবী, কর্মজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য নিশ্চয়ই আজকের সমাবর্তনে উপস্থিত গ্রাজুয়েটবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জুলাই ৩৬ এর গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ছাত্রজনতা ও বিইউএফটি'র ছাত্র শহিদ সেলিম তালুকদারের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশ জুলাই মাসে বদলে গেছে। ৫ আগস্টের পরে তারুণ্যের কারণে এটা নতুন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তরুণ সমাজ পথ দেখিয়েছে কিভাবে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। আজকের এই শিক্ষার্থীরা সেই পথের দিশারি। বাংলাদেশ আর কখনো তার আগের জায়গায় ফেরত যাবে না। উপদেষ্টা আরো বলেন, আজকের সমাবর্তনে ২ হাজার ৭৩১জন শিক্ষার্থী, যারা ডিগ্রী অর্জন করেছেন, তারা যেন বাংলাদেশের দিশারি হয়ে গড়ে উঠেন। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যনগার্ড হিসেবে কাজ করেন। তারা যেন বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেন এবং বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন। বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ফারুক হাসান বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকরা তাদের শিক্ষা, প্রযুক্তি ও দক্ষতার মাধ্যমে দেশের গার্মেন্টস সেক্টরকে বিশ্ববাজারে শক্তিশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বিইউএফটি ইউনিভার্সিটির ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী আয়ূব নবী খান স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দ, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, রেজিস্টার, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৭৩১ শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন এবং ৩২৮ জনকে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়।