কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগে দ্বীর্ঘদিন কর্মরত সহকারি বন সংরক্ষক প্রান্তোষ চন্দ্র রায়ের কমিশন বানিজ্যে দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন রেঞ্জ অফিস সমূহের প্রতি পিউর, সিউর মামলা বাবদ কমিশন দিতে হয় এসিএফ ও ডিপোকে। এছাড়াও করাতকল, পাহাড় কাটা, বালি উত্তোলন ও মাদার ট্রি পাচার সিন্ডিকেটের সাথেও জড়িত উত্তর বন বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক প্রান্তোষ চন্দ্র রায়। তার ইশারায় ও কলমের খোচায় কমিশন বানিজ্যে উত্তর বন বিভাগ দূর্নীতর আখড়ায় পরিনত হয়েছে। এমনকি গত চার অর্থ বছরে সুফল প্রকল্প থেকেই লুটপাট করেছেন প্রায় ১০ কোটি টাকা। অনুসন্ধানে জানা যায় উত্তর বন বিভাগের এসিএফ প্রান্তোষ চন্দ্র রায়ের আওতাধীন সাতটি রেঞ্জসমূহ হলো শহর রেঞ্জ, বাকখালী, পিএমখালী, মেহেরঘোনা, জোয়ারিয়ানালা, ঈদগাঁও এবং ঈদগড় রেঞ্জ। প্রত্যেক রেঞ্জ অফিস থেকে নির্দিষ্ট পরিমান মাসিক মাসোহারা পাঠাতে হয় ডিপো অফিসে। অনুসন্ধানে আরো উঠে আসে এক প্রকার বাধ্য হয়েই রেঞ্জ ও বিট কর্মকর্তারা নানান ধরনের দূর্নীততে জড়াচ্ছেন। চেকপোস্টে চাদাবাজি, করাতকল সিন্ডিকেট, পাহাড় কাটা, বালি উত্তোলন, মাদার ট্রি কর্তন ও বনভূমি দখলদারদের কাছ থেকে বাধ্য হয়ে টাকা নিতে হচ্ছে। এমনকি নামে বেনামে মামলা করে জরিমানা আদায় করে নির্দিষ্ট কমিশন ডিপো অফিসে পাঠাতে হয়। এভাবেই উত্তর বন বিভাগীয় অফিস দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হচ্ছে। অভিযোগের বিষয় নিয়ে এসিএফ প্রান্তোষ চন্দ্র রায়ের সাথে মুঠোফোন বার বার কল দিলে রিসিভ না করায় বার্তা পাঠালেও কোন উত্তর পাওয়া যায় নি,অভিযোগের বিষয় কক্সবাজার উওর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মারুফ হোসেন কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্তা নেওয়া হবে