নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জানা যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার মামলা নং ২৬ আর ১৭/০৯/২৪ দ্বারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ সংশোধনী /২০০৩ এর (৯)১ ধারা। সূত্র মতে আসামি আফজাল হোসেন ফাহিম (২৪)পিতা মৃত নুরুল ইসলাম,মাতা আনোয়ারা বেগম বাঘাপুর মধ্যপাড়া দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ জেলা ঢাকা। আখি আক্তার বোরহান উদ্দিন কলেজ ঢাকা অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী। আসামি আফজাল হোসেন ফাহিম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি মিরপুর অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে আফজাল হোসেন ফাহিম এর সাথে পরিচয় হয়। ফেসবুকে পরিচয়ের পর ফোনের মাধ্যমে আঁখির সাথে কথোপকথনের একপর্যায়ে দুজনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এতে প্রেমের সূত্র ধরে পার্ক সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে ফাহিম ও আখি। একপর্যায়ে ফাহিম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আখি কে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বাঘা মধ্য পুর মধ্যপাড়া ফাহিমের মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার বসতবাড়িতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় আঁখিকে। আসামি আখিকে তাদের বসতবাড়িতে যাবার জন্য রাস্তার লোকেশন ভাড়া সহ উল্লেখ্য করে মোবাইলে মেসেজ প্রদান করে। আঁখি প্রেমের টানে ঐদিন তাদের বাসায় গিয়ে তার মা ও বোনের সাথে পরিচয় হয় ।পরের দিন ১৬/০১/২৩ তারিখ অনুমানিক ৭:৩৫ মিনিটের সময় আসামি তার বসতবাড়িতে পরিবারের সবাই মিলে কথা বলবে বলে আঁখিকে নিয়ে যায়, কিন্তু উক্ত সময় আসামির বাড়িতে কেউ ছিল না, কেউ না থাকায় আসামি তার মায়ের রুমে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আখির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং আসামি গোপনে তার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে এই ভিডিও আখির মেসেঞ্জারে দিয়ে আঁখিকে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে।কাউকে কিছু না বলার জন্য আখিকে বলে, কাউকে কিছু বললে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়, আরো বলে আমি যখন চাইবো তখনই শারীরিক সম্পর্ক বাদ্য থাকবে, আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে ভাইরাল করে দিবে বলে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে এই ভিডিওর মাধ্যমে আঁখিকে তার বসতবাড়িতে নিয়ে বাদীনির ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। (১৬ /০৯/২৩)তারিখ সন্ধ্যা অনুমানিক ৬:১০ ঘটিকায় এবং (১/১০/২৩) তারিখ অনুমানিক বিকাল ৫:০০ ঘটিকায় আঁখিকে ভিডিও'র ভয় দেখিয়ে নিজ বসত ঘরের বাম পাশের রুমে নিয়ে বিয়ের কথা বলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ফাহিম। আখির জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় (২০/০৮/২৪)তারিখে ফাহিম তার মোবাইলের ভিডিও'র কথা বলে আঁখিকে হুমকি দেয় যে তার কথার বিরুদ্ধে গেলে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করে দিবে। আখি কোন উপায় না পেয়ে ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফাহিমকে আসামি করে মামলার দায়ের করেন।মামলা নং ২৬। আসামিকে গ্রেফতার করিয়া আদালতে প্রেরণ করা হয়। জানা যায় আদালতে নির্দেশনায়,আসামির নিকট হইতে উদ্ধারকৃত মোবাইলের ভিডিও বা অশ্লীল ও আপত্তিকর ভিডিও আছে কিনা পরীক্ষা করার জন্য ফরেন্সি বিভাগ বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি ঢাকায় প্রেরনের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গ্রেফতারকৃত আসামি আফজাল হোসেন ফাহিম আঁখিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করিয়া আসছে তাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত আইন ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় অপরাধ করিয়াছে মর্মে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।মামলাটি তদন্তাধীন আছে।ইতোমধ্যে আখিকে ধর্ষণ সংক্রান্ত ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পূর্ণ জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হইয়াছে। মামলায় সুষ্ঠু তদন্ত ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসামি আফজাল হোসেন ফাহিম এর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পৃথকভাবে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। আসামি মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আছে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের পূর্বে আসামির পরিবারের সবাই আঁখিকে টাকা নিয়ে মামলা তোলার কথা বলে। আখি তাদের এই কথায় রাজি না হওয়ায় আসামির পরিবার থেকে আঁখি কে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে যদি মামলা তুলে না নেওয়া হয় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আসামি লম্পট চরিত্রহীন ও দুর্ধষ প্রকৃতির জামিনে বের হয়ে আঁখির জান মালের ক্ষতিসাধন করতে পারে।