মোঃ জাহেদুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট: রমজান মাস এলেই মুসলমানদের জীবনে এক অনন্য আমেজ তৈরি হয়। সারা দিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় ইফতার করার আনন্দই আলাদা। হাদিসে এসেছে, ‘রোজাদারের আনন্দ দুটি, যা তাকে আনন্দিত করে। যখন সে ইফতার করে, আনন্দিত হয় এবং যখন সে স্বীয় প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তখন রোজার বিনিময়ে আনন্দিত হবে। এই উপলক্ষে রোজার শুরু থেকেই লালমনিরহাট পাড়া-মহল্লার ইফতার কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে এক ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। এছাড়া ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটগুলোর সামনে পর্যন্ত বসেছে বাহারি ইফতার সামগ্রীর দোকান। কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ রোজাদার—সবাই এসব দোকানে ভিড় করছেন পছন্দের খাবার কিনতে। বেশির ভাগ মানুষ বাসায় তৈরি ইফতারকেই প্রাধান্য দেয়। তবে কর্মজীবী মানুষেরা, বিশেষত ব্যাচেলর বা ছোট পরিবারে থাকা ব্যক্তিরা বাজার থেকে ইফতার কিনতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কেউ কেউ বাসার ইফতারের সঙ্গে বাহির থেকে বিশেষ কোনও খাবার নিয়ে যান। জেলার মিশন মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে বড় ইফতারের বাজার বসলেও এলাকা ভিত্তিক নানা স্থায়ী ও অস্থায়ী ইফতারের বাহারি পদ নিয়ে দোকান বসানো হয়। ইফতারের আইটেমগুলোর মধ্যে রয়েছে—তেলেভাজা পরিচিত আইটেমের বেগুনি, পেঁয়াজু, সমুচা, ডিমের চপ,আলুর চপ, ছোলা, মুড়ি-মুড়কি ও বিভিন্ন ধরনের পাকোড়া। পাশাপাশি কাবাব, হালিম, নান রুটি, চিকেন ফ্রাই, পরোটা, রোল, জিলাপি, দই-বুন্দিয়া, মিষ্টি, ফালুদা। ফলমূল, খেজুর ও শরবতেরও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। জুম্মাপাড়া এলাকার বাসিন্দা একরামুল হক বলেন, বাসায় বানানো খাবারই বেশি খাই, তবে মাঝে মাঝে জিলাপি বা দই এর জন্য আসি।জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের ছোট পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। তিনি বলেন, ইফতার বানানোর সব জিনিসপত্রের দাম অনেক। বানাতেও তেল অনেক খরচ হয়। ঘরে ইফতার বানানো খরচ ও ঝামেলা মনে করেন বলে বাহির থেকে কিনে নিয়ে যান তিনি। সব মিলিয়ে হিসাব করলে দৈনিক অল্প করে কিনে নিয়ে গেলেই ভালো হয়। ছোট পরিবার, ঈদের ১০ থেকে ৮ দিন আগেই ফ্যামিলি গ্রামে চলে যায়। এদিকে ইফতারের জন্য এলাকার দোকানর ওপর নির্ভর করতে হয়। ব্যাচেলর বাসায় ভাড়া থাকা মনির হোসেন বলেন, ‘আমাদের তো বানানোর লোক নাই। তাই প্রত্যেক দিন মেসের সবাইকে ইফতার কিনে নিয়ে খেতে হয়।