ওয়াহিদ মুরাদ, খুলনা ব্যুরো চীফ-- উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় সভাপতির বক্তব্যে , দিঘলিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, পবিত্র মাহে রমজান শেষে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা কামনা করি। পাশাপাশি ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সকলকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়া ঈদকে সামনে রেখে উপজেলা খেয়াঘাট ও নগর ঘাট ফেরিতে অতিরিক্ত টোল উত্তোলন করতে না পারে সে জন্য নজর দারি বৃদ্ধির পাশাপাশি এ ধরনের অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান। খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে উপজেলা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা এবং ২৫ মার্চ কালরাতে গণহত্যা দিবসের কর্মসূচি এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালনের প্রস্তুতি সভা সোমবার সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি দেবাংশু বিশ্বাস ,উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম , সেনহাটি ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ঝর্ণা বেগম, উপজেলা প্রকৌশলী আবু তারেক সাইফুল কামাল, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ হোসেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদা সুলতানা , উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা খাঁ বাবলী, তথ্য কর্মকর্তা সাঈদা খাতুন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিপাশা দেবী তনু , উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান , আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সামছুর নাহার , সরকারি দিঘলিয়া এম এ মজিদ ডিগ্ৰী কলেজ এর প্রভাষক মোঃ নাছির হোসেন, দিঘলিয়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোল্লা রেজাউল ইসলাম, দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, খানজাহান আলী থানার প্রতিনিধি মিকাইল হোসেন , বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তরিক প্রধানগণ সামাজিক ব্যক্তিবর্গ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। পরে একই স্থানে বেলা ১২ টায় উপজেলা নিবার্হী অফিসার আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ২৫ মার্চ কালরাতে গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তুতি সভা ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতি মুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উৎযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের উদ্দোগ নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা, সকল সরকারি,আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন , গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও আধা সরকারি স্থাপনা সমূহে আলোকসজ্জা এছাড়া একাত্তরের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, উপজেলার দেয়াড়াস্থ গণকবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ। সকাল ৯ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন। প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা ছাড়াও রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্থতা এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদ মন্দির গির্জা ও উপাসনালয় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা।