মোঃ সাকিব খান মাগুরা জেলা প্রতিনিধি: মাগুরার শ্রীপুরের আমতৈল গ্রামের বাসিন্দা শিল্পপতি জাহিদুল ইসলাম ও তার শিল্পপতি ভাইদের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেছে একদল দুর্বৃত্ত। সোমবার রাতে তাদের বাড়িতে ভাংচুর করে লুটপাট ও দামি গাড়ি ভাংচুর করার জন্য এ হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল বলে এলাকাবাসী মনে করছেন। তবে শিল্পপতি ফারুকুল ইসলাম ওশিল্পপতি হারুক আহমেদ তাদের লাইসেন্স করা পিস্তল ও শর্টগান দিয়ে ৫-৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি না ছুড়লে বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো। জেলার আমতৈল গ্রামে অবস্থিত ‘স্টাইল স্মিথ স্যান এ্যাপারেলস্ লিমিটেডে’র স্বত্বাধিকারী ফারুকুল ইসলাম ও হারুক আহমেদ জানান, প্রতিবারের মতো এবারও তাদের ৬ ভাইয়ের একান্নবর্তী পবিবারের মধ্যে ৫ ভাইয়ের পরিবার এলাকাবাসীর সাথে ঈদের নামাজ পড়তে গ্রামে আসি। একভাই দেশের বাইরে অবস্থান করছে। গত কয়েকদিন ধরে এলাকাবাসীর মাঝে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা দান-অনুদানও দিয়েছি। ঈদের নামাজ শেষে আমি ও আমার ভাইয়েরা আমতৈল বাজারে সামাজিক কাজকর্মে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ আমাদের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির অদূরে রাস্তার উপর এলাকার দু’গ্রæপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হচ্ছে শুনে আমরা কয়েকজন ওদিকে এগিয়ে যাই। এদিকে দুবৃর্ত্তরা গ্রামের ভিতরের দিক থেকে কৌশলে আমাদের বাড়িকে টার্গেট করে। একপর্যায়ে আমাদের বাড়ির দিকে চিৎকারের শব্দ শুনে এগিয়ে এসে দেখি অর্ধ-শতাধিক লাইট নিয়ে পার্শ্ববর্তী মেহগনি বাগানের দিক থেকে লোকজন এগিয়ে আসছে। উপায়ান্তর না পেয়ে আমরা বাড়ির পিছনের দিকের গেট দিয়ে বাড়িতে ঢুকে দোতলায় উঠে আমরা দু’ভাই শর্টগান ও পিস্তল নিয়ে দুর্বৃত্তদের মাথার উপর দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ি। এতে ভীত হয়ে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। মূলত তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের বাড়ির মহিলাদের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করা এবং ৫ টি প্যারাডো গাড়ি ভাংচুর করা। আমরা সময় মতো না এলে বড়ধরনের ক্ষতি করে ফেলতো। এ সময় আমরা দো-তলা থেকে দেখতে পাই নোহাটা গ্রামের মিজানুর রহমান টিটোর নেতৃত্বে ইস্কট, হাসেম জোয়ারদার, সোহাগ ও লিপ্টনসহ অর্ধশতাধিক দুষ্কৃতকারী হামলা চালাচ্ছে। হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক বদিয়ার রহমান বলেন, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ এ গার্মেন্টেসে চাকুরি করছে। মাঝে মাঝেই দেখি আমাদের মালিকদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর হয়েছে। এতে গার্মেন্টস বন্ধের পায়তারাও করা হচ্ছে। আমরা চাই এরকম ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। আর তা না হলে এই প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইদ্রীস আলী জানান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিছু দেশী অস্ত্র বাগানের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।