পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরী:-পটিয়া সরকারি কলেজের অর্নাস ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী তামান্না নাহিদ ইয়া প্রকাশ আরজু আক্তার গত ৩/৪/২৫খ্রিঃ চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ গাছবাড়ীয়া নোয়াপাড়া এলাকায় তার নানার বাড়ি বেড়াতে আসে। আরজু আক্তার রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে তার নানী ফরিদা বেগমের সাথে তার কক্ষে ঘুমিয়ে পরে। গত ৯/৪/২৫খ্রিঃ রাত ০১.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমের মায়ের আপন খালাত ভাই নাজিম উদ্দিন উক্ত বাড়িতে বেড়াতে আসে। তিনি তার খালু আব্দুল হাকিমের সাথে ঘুমাতে যান। রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় আরজু আক্তারের নানা টয়লেটে যেতে চাইলে নাজিম উদ্দিন তাকে কৌশলে বসত ঘর সংলগ্ন টয়লেটে যেতে বাধা প্রদান করে বাহিরের টয়লেটে নিয়ে যায়। আব্দুল হাকিম টয়লেট থেকে তার শয়নকক্ষে আসার সময় আরজু আক্তারকে তার নানির কক্ষে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তাদের বসত ঘর সংলগ্ন টয়লেটের দরজা খুলে টয়লেটের মেঝেতে আরজু আক্তারের মুখে ওড়না ঢুকানো এবং গলায় পেচানো অবস্থায় দেখতে পায়। অতঃপর তিনি ডাক-চিৎকার শুরু করলে নাজিম তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে থাকা দা দিয়ে গুরুতর জখম করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম মহোদয়ের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি), চট্টগ্রামের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা, চট্টগ্রামের একটি চৌকস আভিযানিক টিম উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং অভিযুক্ত পলাতক আসামী নাজিম উদ্দিনকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন রশিদনগর ইউনিয়নের কাদমার পাড়া দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হতে ১১/৪/২৫খ্রিঃ গভীর রাতে আসামী নাজিম উদ্দিন (৩০), পিতা-মৃত সৈয়দ আহম্মদ, মাতা-রুকিয়া বেগম, সাং-খাগরিয়া (নতুন খাগরিয়া), ইজ্জত বর বাড়ী, থানা-সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। উক্ত অভিযানে কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও সিআইডি, কক্সবাজার টিম সহায়তা করে। গ্রেফতার পরবর্তী নাজিম উদ্দিনকে নিয়ে মামলা সংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সংক্রান্তে চন্দনাইশ থানার মামলা নং-০৫, তারিখ- ০৯/০৪/২০২৫, ধারা-৩০২/৩২৬/৩০৭ পেনাল কোড তৎসহ ৯(৪) (খ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধন/২০২৫) রুজু হয়। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।