মোঃ আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা ফ্লাইওভার করে কোন লাভ হয়নি। ফ্লাইওভার করার পরও মহাসড়কের ভুলতা গাউছিয়া এলাকা আগের মতই দীর্ঘ যানজট। এখানে লক্কর ঝক্কর প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার দৌরাত্ম্য দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দৃষ্টি নন্দন ফ্লাইওভারে গাড়ি চলাচল খুবই কম। এখানে লোকাল ও দূরপাল্লার বাসগুলো যাত্রী নিতে ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে চলাচল করে আসছে। যাত্রীরা পড়ছে দীর্ঘ যানজটের কবলে। এসকল কথা বলেন সাওঘাট এলাকার নেহাল উদ্দিন। তিনি বলেন মহাসড়কের উপর বাজার বসার কারণে এ সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় আর দুর্ভোগে পড়ে যাত্রী সাধারণ। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আইনশৃখলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে সড়কের উপর বাজার বসিয়েছে ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে মহাসড়কের উপর যত্রতত্র ষ্ট্যান্ড বসিয়ে ডেটফেল লক্কর ঝক্কর প্রাইভেটকার ও অটোরিকশা চলাচল করছে। এসকল অবৈধ অটোরিকশা ও ডেট ফেইল গাড়ির দৌরাত্ম দিনদিন বেড়েই চলছে। গাড়ির চালকরা হাইওয়ে পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়ে এসকল গাড়ি চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় হাইওয়ে পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়ে সড়কের উপর যত্রতত্র বাস, ট্রাক, পিকআপ, লেগুনা, সিএনজি, অটোরিকশার ষ্ট্যান্ড বসিয়ে এসকল যানবাহন চলাচল করে আসছে। গোলাকান্দাইল গোল চত্বর থেকে চলাচলরত যানবাহনের মধ্যে ২৫০টি লক্কর ঝক্কর প্রাইভেটকার কুড়িল বিশ্বরোড ও মীরের বাজার রোডে চলাচল করে বলে জানা যায় । এ ছাড়াও গাউছিয়া টু বরপা পর্যন্ত চলে প্রায় দেড় শতাধিক অটোরিকশা। গাজিপুর, মীরের বাজার ও মায়ার বাড়ি রোডে চলাচল করছে প্রায় দুই শতাধিক সিএনজি। নাম না বলার সর্তে কয়েকজন অটো চালক বলেন হাইওয়ে ও মহাসড়কে ত্রি হুইল চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও পুলিশকে ১০০০ (এক হাজার) করে টাকা মাসোয়ারা দিয়ে গাউছিয়া থেকে বরপা পর্যন্ত চালিয়ে থাকি। তবে টাকা না দিলে গাড়ি চালাতে দেয়া হয় না। এবিষয়ে বরপা এলাকার আবুল কালাম নামের এক অটো চালক বলেন মহাসড়কে যারাই এসকল নিষিদ্ধ গাড়ি চালায় তাদের প্রত্যেকেই এক হাজার করে টাকা হাইওয়ে পুলিশকে মাসোয়ারা দিতে হয়। ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ওসি জাহানুর রহমান বলেন আমি নতুন আসছি এ ব্যাপারে কথা বলে কোন লাভ নাই বড় বিপদে আছি। তবে আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এসকল অপরাধীরা পার পাওয়ার চেষ্টা করছে। আসলে আমরা এর সাথে জড়িত না। ###